ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়।

জিয়াউর রহমান দেশে কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছিলেন । ‘৭৫ সাল থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত কারফিউ দিয়েছিলো বিএনপি। জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন কারফিউ গণতন্ত্র।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন।

এদিকে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিন ৩০ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করার দাবি করা হচ্ছে । যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক সমাবেশ থেকে এই দাবি উঠেছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, “জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং দেশের ভেতর থেকেই যুদ্ধ পরিচালনায় অংশ নিয়েছিলেন।”

গিয়াস দাবি করেন, “পঁচাত্তরের পর রাজনৈতিক সংকটে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বহুদলীয় রাজনীতি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”

জিল্লুর রহমান ৩০ মে-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত , প্রতি বছর ৩০ মে দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *