ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিলো আদালত! স্পষ্ট প্রমাণিত, বাংলাদেশের বিচার, আইন আদালত আজ কার কথায় উঠবস করছে।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামীলীগের নিবন্ধন বাতিল, আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারি খুনীর দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশের আদালত!

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের যে রায় হাই কোর্ট দিয়েছিল, এক যুগ পর সেটা বাতিল করে দিয়েছে।

সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রবিবার এই রায় দেয়।

আদালতের রায়ের পর ফেইসবুক পোস্টে শুকরিয়া জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর শোকরানা মাহফিল হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজারস্থ নগর জামায়াতের কার্যালয়ে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়, সেজন্য আল্লাহর ‘সাহায্য’ চেয়েছেন তিনি।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় বাংলাদেশে।

কিন্তু দেশের প্রথম ফৌজি প্রশাসক জিয়াউর রহমান তার প্রতিপত্তি বৃদ্ধির জন্য জামায়াতকে ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ করে দেন।

বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাই মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করার সাহস পেয়েছিলেন জামায়াতের মহাসচিব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।

মুক্তিযুদ্ধকে তিনি গৃহযুদ্ধ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেছিলেন, একাত্তরের কোনও যুদ্ধাপরাধীই নাকি নেই। পরে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করে ফাঁসি দেওয়া হয়।

উল্লেখ করা জরুরি, মুক্তিযুদ্ধকে কোনদিন সমর্থন করেনি জামায়াতিরা।

ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তানি গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে লাভ করা দেশের স্বাধীনতাকে বরাবর অসম্মান করেছে তারা।

দেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান নেই তাদের। জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা ত্রিশ লক্ষ শহিদের প্রতি এখনও শ্রদ্ধা জানাতে রাজি নয়। আর সেই নিষিদ্ধ দল নিবন্ধন পেয়ে যায় আজ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *