আবারো সেই ‘ ইসলাম রক্ষা’র ফতোয়া দিয়ে নতুন ভন্ডামি শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। যে দলটি একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত ও প্রমাণিত হয়ে আছে বাংলাদেশের জনগণের কাছে।

যে দলটির নেতা-কর্মী ও সশস্ত্র ক্যাডাররা হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী বাঙ্গালীকে হত্যা নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি।

অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে।তাদের বেশি আক্রোশ ছিল বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের ওপর চালিয়েছিল অমানবিক-ঘৃণ্যতম বর্বরতা।

আর সবই তারা করেছিল তাদের ভাষায় পবিত্র ইসলাম ধর্ম রক্ষার নামে, তাদের পেয়ারে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার নামে। একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর বর্বরতার নানা চিহ্ন-প্রমাণ রয়েছে সেসময়কার দেশি বিদেশী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

সেই জামায়াতে ইসলামীর নেতারা আবার একই উন্মত্ততায় মেতে উঠেছে এই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে। একই রূপে আবার তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।

গত ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্ট এর সময়কালে যে জঙ্গী অভ্যূত্থান হয়েছিল বাংলাদেশে সেটিকে বৈধতা নিতে আবারো নানা মোড়কে তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সেই একাত্তরের মতই আবার ‘ ইসলাম’ এর নামে নতুন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে।

দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত এক খবরে দেখা গেছে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো ইসলামের আলোকে একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে।’

গত শনিবার অর্থাৎ ৩১ মে তিনি বাংলাদেশের সৈয়দপুরে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে এসব মন্তব্য করেন।

তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা আবারো জামায়াতের একাত্তরের সেই ভূমিকায় ফিরে গিয়ে তখনকার পরাজয়ের প্রতিশোধস্পৃহা দেখতে পাই। এ নিয়ে এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নাগরিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছি। তবে তা রাজপথে নয়, এখনো তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ।

এরই মধ্যে শোয়েব নাঈম নামে একজন কবি-লেখক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে একটি বিশ্নেষনধর্মী ও যুক্তিযুক্ত লেখা লিখেছেন। লেখাটি পাঠকদেও জন্য তুলে ধরলাম।

এতে শোয়েব লিখেছেন- জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি বলেছেন, “আমরা জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই।” কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ‘ইসলাম’টি কি সেই ইসলাম, যেটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল?

যে ইসলাম মজলুমের পাশে দাঁড়ায়, সে ইসলাম কীভাবে ১৯৭১-এ লাখো নিরীহ মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্তদের আশ্রয় দেয় ? জামায়াত-শিবিরের মুখে ইসলাম মানে যেন এক ধরণের প্রহসন- যেখানে ধর্ম হয় রাজনীতির ঢাল, অপকর্ম আড়াল করার মুখোশ।

জামায়াতে ইসলামীর স্ববিরোধিতা ও ভন্ডামির উদাহরণ:

১. “ন্যায়ের রাষ্ট্র” বললেই কি অতীতের পাপ ধুয়ে যাবে? জামায়াত এখন ‘ন্যায়’ শব্দকেই প্রতারিত করছে। “ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র” গড়ার কথা বলে জামায়াতে ইসলামী এখন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিবেকহীন ভন্ডামি করছে। ন্যায় ? কিসের ন্যায় ?

যাদের হাত ১৯৭১-এ গণহত্যার যন্ত্র হয়ে উঠেছিল, যাদের কাঁধে শহীদের আর্তনাদ আজও ভার হয়ে চেপে আছে, তারা যখন ন্যায়ের মুখোশ পরে, তখন সেটা ভয়াবহ রকমের ব্যঙ্গচিত্র!

যাদের হাত ধুলেও শহীদদের রক্ত ওঠে না, যারা আদালতের কাঠগড়ায় ‘যুদ্ধাপরাধী’, যারা রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানিদের মতই সহঅপরাধী হয়ে এদেশের মানুষকে হত্যা করেছে, সেই শকুনদেরর মুখে শুদ্ধতার ভাষণ!!

যারা এক সময় ন্যায়ের গলা টিপে ধরেছিল, আজ তারাই ন্যায়ের কণ্ঠস্বর!! এটা কি আত্মবিস্মৃতি, নাকি জাতিকে চরম ধৃষ্টতায় অপমান করার একটি সুপরিকল্পিত দ্বিতীয় অধ্যায়?

একদিকে মুখে ইসলামের আলোকে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায়, অন্যদিকে সেই জামায়াতই বছরের পর বছর যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে, প্রচার দিয়ে, শহীদ বানিয়ে বীরদর্পে রাজনীতি করছে।

যারা এ দেশের স্বাধীনতাকে “কুফরি রাষ্ট্র” বলে গালি দিয়েছিল, আজ তারাই এই দেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব আর স্বাধীনতার রক্ষক!! কী ভয়ংকর রকম জনগণের সাথে রাজনৈতিক বর্বরতা!! একজন খুনী যদি নিজেকে বিচারপতি ঘোষণা করে, সেটা যেমন ভন্ডামির চূড়ান্ত প্রকাশ, তেমনি যুদ্ধাপরাধী আশ্রয়দাতারা যখন “ন্যায়ের রাষ্ট্র” চায়, তা হচ্ছে গণতন্ত্রের মুখে আগুন লাগিয়ে আগুনের মুখে পানি খোঁজার প্রতারণা।

পঞ্চাশোর্ধ এই লেখক নাঈম প্রশ্ন তুলেছেন- জামায়াতের “ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র” মানে আসলে কী? যেখানে রাজাকারের ছবি গোপনে টাঙানো হবে ? যেখানে গণহত্যাকারীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে? যেখানে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত বানানোর ফাঁদ পাতা হবে ?

এক্ষেত্রে লেখক তার বক্তব্যে বলেছেন- তাদের এই “ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র” গঠনের কথা- এটি ইতিহাস বিকৃতির, শহীদের রক্তের অবমাননার, এবং ইসলামের নাম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার নতুন ব্র্যান্ডিং মাত্র।

যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলাম জানে না, একটি দেশের বীর শহীদের রক্ত কখনো শুকায় না। রাজাকাররা অনুধাবনই করতে পারে নাই— এই দেশের মাটি শুধু ফসল জন্মায় না, জন্ম দেয় প্রতিরোধ, আর ইতিহাসবিরোধীদের জন্য গর্জে ওঠা প্রতিশোধ।

২. নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে যখন জামায়াতে ইসলামী ভাষণ দেয়, তখন সেটি বাক্যের পবিত্রতা নয়— তাদের বিগত আচরণের গর্ভ থেকে উঠে আসা এক নির্মম পরিহাস।

যে হাত নারীর মুক্তচিন্তায় শেকল পরিয়েছে, সেই হাতই আজ নারী-স্বাধীনতার পতাকা ওড়াতে চায়। এটি শব্দের নয়, এ হচ্ছে সমগ্র নারী সমাজকে অপমান।

যে দলের আদর্শিক ছাঁকনি দিয়ে নারীর পরিচয়কে শুধুই পর্দার আড়ালে ঠেলে দেওয়া হয়, তাদের মুখে নারী-পুরুষ সমতার বুলি ঠিক ততটাই বিশ্বাসযোগ্য, যতটা জল্লাদের মুখে দয়া, অথবা আগুনের বুকে শীতলতার প্রতিশ্রুতি।

একটি দল, যার আদর্শিক শিকড়ই হচ্ছে নারীকে ঘরের “আবরণী” বানিয়ে রাখার চেষ্টা। যারা নারীর স্বনির্ভরতা নয়, নিঃশব্দতার আনুগত্যে নারীকে দেখার দর্শন লালন করে, তারাই আজ যখন সমানাধিকারের কথা বলে, তখন সেটা যেন অন্ধকারের গুহায় বাস করে সূর্যের বন্দনা।

জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান বরাবরই নারীবিরোধী— এ কথা কেবল রাজনৈতিক তর্জা নয়, এটি জামাতের ইতিহাস এবং তাদের নীতিগত পাঠের অংশ।

তারা নারীর ভোটাধিকার, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, শিক্ষা ও নেতৃত্ব— এই সবকিছুর বিরুদ্ধে একসময় সরব ছিল। এখনো তাদের বক্তব্য ও কর্মপরিকল্পনায় নারীর জন্য স্বাধীনতা নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ, বাধ্যবাধকতা ও আদেশই মুখ্য।

জামায়াতের কোনো নারী নেতৃত্ব নেই, নীতিগতভাবে নেই কোনো তাদের নারীবান্ধব রাজনৈতিক অবস্থান। তারা বরং নারীর অস্তিত্বকে আধ্যাত্মিক দায়ে বন্দি করে রাখার দর্শন প্রচার করে— যেখানে নারী সমাজের অংশ নয়, বরং “পরিচর্যার বস্তু”।

এমন দৃষ্টিভঙ্গি সভ্য রাষ্ট্র বা মানবিক সমতা চিন্তার পরিপন্থী। তাই সম্প্রতি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জামায়াত, তাদের মতাদর্শিক সহযোগীদের মাধ্যমে প্রবল প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে।

তাদের মুখে সমান মর্যাদার বুলি শোনা মানে- যেমনটা একটি গিরগিটির কাছে রঙের স্থায়িত্ব আশা করা, যেমনটা চোরের মুখে সততার সংজ্ঞা শোনা, যেমনটা জল্লাদের হাতে শান্তির পতাকা তুলে দেওয়া।

একসময়ে আবৃত্তি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকা নাঈম লিখেছেন- এটা শুধু ভন্ডামি নয়, বরং নৈতিক দেউলিয়াপনার এক অতিমাত্রা, যেখানে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলে ধর্মের পর্দা টেনে, আদর্শের নামে ছলচাতুরী করে।

তাই প্রশ্ন উঠবেই- যে সংগঠন আজও নারীর স্বাধীন পথচলার বিরোধিতা করে, যে চিন্তা এখনও নারীর কণ্ঠকে “পর্দার অন্তরালে” রাখার পক্ষে সাফাই গায়, তারা কি পারবে নারী-পুরুষের সমান মর্যাদার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে?

না, তারা পারবে না। কারণ তাদের নীতির বীজতলাতেই আছে বৈষম্যের বিষ, আর সেই বিষ দিয়েই সমাজের স্বাধীনতা, বিশেষ করে নারীর স্বাধীনতাকে বারবার রুদ্ধ করার চক্রান্ত চলে।

৩. “আল্লাহর আদেশে শিক্ষা”— মধ্যযুগীয় স্লোগানের একবিংশ শতকের প্রতিধ্বনি : এ কথা শুনলেই মনে হয়, সময় যেন থেমে গেছে একান্ত অতীতে, যেখানে জ্ঞান, যুক্তির চিন্তা আর গবেষণামূলক কাজের পরিধি বাঁধা পড়েছিল অন্ধবিশ্বাসের গৃহবন্দী খাঁচায়।

“আল্লাহর আদেশে শিক্ষা” – এ হচ্ছে একাধারে শ্লোক ও শ্লোগান, যা জামায়াতের গলা দিয়ে একরোখা উচ্চারিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বহুদূর তারা এগোয়নি, যুগে যুগে শিক্ষার আলোর প্রসারে নয়, বরং জ্ঞান-বিপ্লবের আলোর বাইরে গোধূলির অন্ধকারে তারা এখনও বন্দী।

জামায়াতে ইসলামী শিক্ষার নামে যখন কথা বা বক্তব্য দেয়, তখন সেখানে যুক্তি, বিজ্ঞান ও গবেষণার জায়গা আর গুরুত্ব পায় না। জামায়াতের শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে- যুগোপযোগী শিক্ষাপদ্ধতির বিরুদ্ধে, যুক্তির বিরুদ্ধে, মানবিক চিন্তার বিরুদ্ধে, গবেষণার বিরুদ্ধে।

তারা চায় শুধু অন্ধ আনুগত্য, যেখানে প্রশ্ন করার বা সন্দেহ করার কোনো অধিকার কারো নেই। একজন জ্ঞানের অধিকারী নাগরিক, যার মস্তিষ্ক প্রজ্ঞায় ভাবতে পারে, প্রশ্ন তুলতে পারে, যুক্তির আলোকে জ্ঞান আহরণ করতে পারে – তাদের কাছে সেই মানুষ বিপজ্জনক।

কারণ, জ্ঞানের চিন্তা এবং জ্ঞানের সত্যিকার আলো সমাজের অন্ধকারকেই হটিয়ে দেয়। আলোর বিরুদ্ধে তখন তাদের ছায়া পড়তে থাকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের মতো। তাই এই স্লোগানটি এক ধরণের প্রতারণার বিলাসিতা নয়, বরং ক্ষমতার ছদ্মবেশ।

জামায়াতে ইসলামীর “আল্লাহর আদেশে শিক্ষা” এই শ্লোগান হচ্ছে- যুগোপযোগী শিক্ষার নামে ছড়িয়ে পড়া মুক্তবুদ্ধির ঝলক কেড়ে নিয়ে, ধর্মীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার এক পন্থা।

যেখানে শিক্ষার লক্ষ্য হয় না মুক্তি বা উৎকর্ষ, বরং হয় নিয়ন্ত্রণ ও দমন। তাই এই “আল্লাহর আদেশে শিক্ষা” যেন আজকের দিনে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের প্রতীক, যেখানে শিক্ষার আলোতে নয়, অন্ধবিশ্বাসের ছায়াতেই সমাজকে বেঁধে রাখার চেষ্টা চলছে।

শেষ কথা: জামায়াত-শিবিরের মুখে ‘ইসলাম’– কিন্তু তাদের এই ‘ইসলাম’ আরাধনার বিষয় নয়, বরং ক্ষমতা দখলের কৌশলী স্লোগান। ‘আল্লাহ’ শব্দটি তাদের ঠোঁটে বারবার ওঠে, এমন উচ্চারণ তা কোনো পবিত্র ধ্যানের নয়, বরং তা এক রাজনৈতিক ছুরির মোড়ক।

তারা মুখে কল্যাণের কথা বলে, অথচ অন্তরে পুষে রাখে বিভেদের বিষ, হিংসার আগুন আর প্রতিহিংসার কুৎসিত রাজনীতি। এই গোষ্ঠী ইসলামকে পুঁজি করে, কিন্তু প্রকৃত ইসলাম তাদের ছায়াতেও নেই।

এদের ইসলাম মানে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী, হুজুরের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক ক্যাডার। কোরআনের আলো নয়, এরা চায় বন্দুকের ছায়া। মহানবীর চরিত্র নয়, বরং গদি আর ক্ষমতার মোহে ধ্বংসমগ্ন বিবেকহীন শিকারি।

তাদের প্রতিহত করা মানে কেবল ভিন্নমত দমন নয়, এদের বিরুদ্ধে লড়াই আসলে স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মাকে রক্ষা করার লড়াই। কারণ যারা ধর্মকে অস্ত্র বানায়, তারা ধর্মকে নয়, নিজেদের রক্তপিপাসু ইচ্ছাকেই বানিয়েছে ঈশ্বর। আজীবন এই জামায়াত-শিবির রাষ্ট্রের, ধর্মের এবং সভ্যতার শত্রু।

# ইশরাত জাহান, লেখক, গবেষক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *