সিলেট: সিলেটের অবস্থা ভয়াবহ দিকে গতি করছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে জকিগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর জল দ্রুতহারে বেড়ে একাধিক স্থানে ডাইক ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
বাঁধ ভাঙনের ফলে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বালু ও মাটি ভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়রা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। বন্যার জলে বাড়িঘর ডুবে গেছে ইতিমধ্যে । প্লাবিত চারদিক।
জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম ও আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং বিপদাপন্ন মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে জল উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতা না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে জল ঢুকছে লোকালয়ে। জনগণ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর জল উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে উপজেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের পর সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির প্রকোপ অল্প কমেছে।
তবে আসামের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই তিন জায়গা দিয়ে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
আসামের বিভিন্ন অঞ্চল ইতিমধ্যে জলের তলায় ডুবে আছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ চারপাশে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভারত থেকে নেমে আসা বরাক নদীর ঢলে আশঙ্কাজনকভাবে কুশিয়ারার জল বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার লোকজনের ঘরে বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। এবং ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি নদীর চারটি পয়েন্টের জল বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের জল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।