ঢাকা: একাত্তরের প্রতিশোধ নিতে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী। ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে মাঠে নামছে তারা।

এবার দলের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনকে দিলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই এম এম নাসির উদ্দিনের হাতে সংক্ষিপ্ত রায়ের অনুলিপি তুলে দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালে বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের উপদেষ্টা জেনারেল রাও ফরমান আলী।

আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘জেনারেল নিয়াজী বাংলাকে শত্রুভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করে নিয়মিত বক্তব্য প্রদান করে সেনাদের ক্ষেপিয়ে তুলতো। তবে আমি কিছু নেতার সাথে যোগাযোগ করি।

ফলে নুরুল আমীন, খাজা খয়ের, ফরিদ আহমদ, শফিকুল ইসলাম, গোলাম আযমরা টিক্কার সঙ্গে দেখা করতে আসে এবং শান্তি কমিটি গঠন করে।

তাদের উদ্যোগে মুসলীম লীগ, পিডিপি, জামায়াতে ইসলামিসহ আরো কয়েকটি পাকিস্তানপন্থী দলকে নিয়ে সারা দেশে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। ৭ এপ্রিল যুদ্ধ চলাকালে তারা পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় একটি মিছিলও বের করেছিল।

এরপর পাকিস্তানি সেনাদের যুদ্ধে সহযোগিতা করা, রাজধানীর বাইরে রাস্তাঘাট চিনিয়ে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করাসহ সার্বিক কাজের জন্য রাজাকার নামে আরেকটি বাহিনী গঠন করা হয়।

এমনকি যুদ্ধকালে নিয়াজীর তৈরি সশস্ত্র আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীও দারুণ সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানি সেনাদের। এসব বাহিনীর প্রধান ছিল গোলাম আযম, শাহ আজিজ, নিজামী, মুজাহিদসহ শীর্ষ জামায়াত ও শিবিরের নেতারা।’

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত!

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামীলীগের নিবন্ধন বাতিল, আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারি খুনীর দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশের আদালত!

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের যে রায় হাই কোর্ট দিয়েছিল, এক যুগ পর সেটা বাতিল করে দিয়েছে।

সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রবিবার এই রায় দেয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *