মাগুরা: বাংলাদেশ সংখ্যালঘু নির্যাতনে, সংখ্যালঘু হত্যায় একদম বর্বর অধ্যায়ে উপনীত হয়েছে।
মাগুরার মহম্মদপুরে পাপিয়া দত্ত নামের একজন সমাজসেবা কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যালঘু মৃত্যু এখন জলভাত এই বাংলায়। কেউ খোঁজ করে না। ঘটনার ধামাচাপা পড়ে যায়।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরের প্রমোট মহিলা হোস্টেলের নিচতলার কক্ষে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। পাপিয়া দত্তের শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে।
পাপিয়া দত্ত মহম্মদপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের একজন সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি খুলনা দৌলতপুরের বাবলা গ্রামে।
গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরকারি বাসভবনের একটি কক্ষে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পাপিয়া দত্তের স্বামী মিঠু ধর পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার, তিনি কর্মস্থল খুলনায় বসবাস করেন। তাঁদের ১২ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে বাবার সাথে খুলনায় থেকে পড়াশুনা করছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আব্দুর রব বলেন, পাপিয়া একজন পরিশ্রমী সমাজকর্মী ছিলেন। মৃত্যুটি রহস্যজনক। এটি সহজ মৃত্যু নয়।
পাপিয়া দত্তের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ানো ছ্যাঁকা ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। মৃতদেহের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নাটক সাজানোর চেষ্টা হয়েছে বলে ধারণা অভিজ্ঞমহলের।
বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু হত্যা হচ্ছে, তাতে পাপিয়া দত্তের ঘটনা সহজভাবে নেয়ার নয়।
একের পর এক হিন্দু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রহস্যজনক মৃত্যু হচ্ছে । হিন্দুদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। তদন্ত আর বিচার তো নেই। বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বললেও, পর্দার আড়ালে চলছে অন্য গল্প।
৫ আগস্টের পর থেকে একের পর এক সংখ্যালঘু সরকারি কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটছে, যা ‘আত্মহত্যা’ নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে—এই ঘটনাগুলো আসলে ইউনুস চক্রের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ?