ঢাকা: যত দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশ বাড়ছে নৈরাজ্য, এই নৈরাজ্যের ছায়া পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে তথাকথিত “নোবেল বিজয়ী” ড. ইউনুসের নেতৃত্বে গোপন ‘মেটিকুলাস প্ল্যান’।
এবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তাঁর স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক, এবং তাঁদের সন্তান নুরিন সিদ্দিকের নামে থাকা ২৪ দশমিক ৮০ বিঘা জমি, ৫টি প্লট, ৫টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার, ৩ জুন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়।
জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পদের তালিকা: রাজধানীর বারিধারা এলাকার ডিওএইচের সাততলা বাড়ি, একই এলাকার সাততলা ভবনের ৫ থেকে ৭ তলার তিনটি ফ্ল্যাট, একই এলাকার ৩৬শ স্কয়ার ফিটের চারটি কার স্পেসসহ দুটি ফ্ল্যাট, পূর্বাঞ্চলের নতুন শহরে ২০ কাঠা জমির চারটি প্লট, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট।
এদিকে, শুধু তারিক আহমেদ নয়, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাইফুল আলমের সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসেব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের স্ত্রী নুসরাত জাহানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।
তালিকায় আছেন শহিদুল ইসলামও। নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের সম্পদ ক্রোকেরও আদেশ দিয়েছে আদালত।
সম্পত্তি ক্রোক হয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয় কিন্তু দেশের শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছে, নারীরা কাজ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে, ব্যবসায়ী বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছে। এইসব বিষয়ে কথা হয় না ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি আর অর্থনীতি নেই—এটা একটা খাঁচা, যেখানে মানুষ বন্দি।
সরকার বলছে, তারা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখবে—কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তারা শুধু হিসাব দিচ্ছে, দায় নিচ্ছে না।
তারা জানে, এই মানুষেরা কাঁদে, কিন্তু দাঁড়ায় না। তারা কাঁদতে কাঁদতে সব কিছু মেনে নেয়।