ঢাকা: ঈদের আগে এখনো বোনাস পাননি ৪৭১টি কারখানার শ্রমিকেরা।
১ হাজার ৮৩৭টি কারখানার শ্রমিকরা এখনো বেতন পাননি। শতকরা হিসেবে বেতন বকেয়া রয়েছে ৬৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কারখানায়।
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া।
সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, দেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, বেপজা, পাটসহ নানা খাতে ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা রয়েছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৮৪ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি।
এমন অবস্থায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
যা জানা গেলো, সবচেয়ে বেশি বোনাস বাকি রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত কারখানাগুলোয়।
বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ বা বেপজার বাইরের ১ হাজার ৫০০টির মতো কারখানায় শ্রমিকেরা এখনো পর্যন্ত বোনাসের টাকা পাননি।
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, অনেক মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের বোনাস দিলেও মাসের পুরো বেতন দেন না, অর্ধেক দেন।
তাঁরা মনে করেন, পুরো বেতন দিলে শ্রমিকেরা আর দ্রুত কাজে ফিরে আসবেন না। তখন কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
দু-একজন শ্রমিক এই কাজ করতে পারেন, কিন্তু তাই বলে গণহারে তাঁদের বেতন আটকে রাখার যুক্তি নেই।
এটা তো অগ্রিম দেওয়া হচ্ছে না। পুরো মাস কাজ করার পর তাঁর যে প্রাপ্য, সেটা থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে?
এদিকে, বকেয়া তিন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামা বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা বুধবার, ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
শ্রমিকেরা ঢাকায় এসে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন এবং পরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।
‘বেতন চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল মারে, রাবার বুলেট মারে। আমরা কই যাব? ঈদে বকেয়া বেতন ও বোনাস না পেলে বাড়ি যাবো কীভাবে?’ বলছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের গার্মেন্টস শ্রমিকেরা।