দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী।
২০২৪ এর ৫ আগষ্ট চরম সাম্প্রদায়িক- মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ইসলামী অপশক্তি প্রকারান্তরে বাংলাদেশটিকে দখল করে নিয়েছে। যদিও সেদিন বিকেলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার- উজ- জামান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় বলেছিলেন – দেশবাসীর দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। কিন্তু আসলে সেই দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতা তার রয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে ইউনুস সরকার আবার মুক্তিযুদ্ধ- মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একধরনের অধ্যাদেশ জারী করেছে। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে।
সেনাপ্রধান যদি দেশের দায়িত্ব, দেশবাসীর দায়িত্বই নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়িটিই রক্ষা করতে পারলেন না বা রক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি।
যে বাড়িটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার সেই বাড়িটিকেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিলো তস্কররা সেই সেনাবাহিনীর সামনেই।
তাহলে সেই ‘দেশপ্রেমিক’ সেনাবাহিনীর উপরই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
জামায়াত- হিযবুত- হেফাজত বেষ্ঠিত ইউনুস সরকার নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ- মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে। যে মহান ব্যক্তি যে অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে মুক্তিযুদ্ধ হলো, একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেলাম আমরা আজ কিনা তাকেই সার্টিফাই করতে চায় ড. ইউনুস সরকার !!
শুধু আশ্চর্যজনক নয়, চরম ধৃষ্টতারও বিষয় এটি। ধিক্কার জানানোর ভাষাও হারিয়ে যায় কখনো কখনো এসব দেখে। যে নেতার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতোনা তাকেই সরাসরি অস্বীকার!!
বাংলা নামের দেশটির বাঙ্গালি নাগরিকরা মেজর জেনারেল, লে: জেনারেল, জেনারেল হতে পারতো না সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার। তাঁকে মুছে ফেলার এত ষড়যন্ত্র! আর কত ষড়যন্ত্র ক্ষ্যন্ত হবে এসব মীরজাফর- খন্দকার মোশতাকের উত্তরসূরিরা সেটাই ভাবি এখন।
মুক্তিযুদ্ধ- গণহত্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছেন প্রামান্য চিত্র নির্মাতা, নাট্যাভিনেতা কাওসার চৌধুরী। একাত্তরের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা তিনি। সাম্প্রতিক কালে মুক্তিযুদ্ধ- মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাদেশ জারী হওয়া নিয়ে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে:
ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা মহোদয়………।।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ মঙ্গলবার রাতে জারী করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় (সূত্রঃ প্রথম আলো, বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫)। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন’ আনার পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার- বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতার শত্রু’দের কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, চিহ্নিত করে- গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন’ নিয়ে আমার ভিন্ন মত এবং ভিন্ন পর্যবেক্ষণ থাকলেও- গেজেটে প্রকাশিত বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতার শত্রু’ নিয়ে কোন তর্ক তো নাই-ই, বরং সমর্থন আছে।
‘সংজ্ঞা’য় পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে একটু পরে আসছি। প্রথমেই ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের’ শত্রুদের প্রসঙ্গ।
বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা দেশের ভেতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন এবং যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় অংশগ্রহন করেছেন, এরূপ সব বেসামরিক নাগরিক (ওই সময়ে যাদের বয়স সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে ছিল) তাঁরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন (সূত্রঃ প্রথম আলো, বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫)।
নতুন সংজ্ঞায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীর মাধ্যমে নির্যাতিত সব নারী (বীরাঙ্গনা) বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধনীতে যে জায়গায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শব্দ ছিল, তা পরিবর্তন করা হয়েছে (প্রথম আলো, বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫)। ঠিক এখানটায় এসে গণ্ডগোল লাগিয়েছে অধ্যাদেশটি!
প্রশ্ন আসে- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কি তাহলে জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকার করে না!? এর উত্তরে জনপ্রিয় ‘টক শো’ তারকা সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল তাঁর ‘কথা’ অনুষ্ঠানে বলেছেন- এই সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তো গণ মাধ্যমকে বলেই দিয়েছেন যে- তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে মানেন না! এতে তো ‘জতির পিতা’ বিষয়ে এই সরকারের মনোভাব স্পষ্টতই প্রকাশ পায়।
অবশ্য, নাহিদ ইসলামের মত একজন মানুষ; মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যার জন্মই হয়নি- তার দায়িত্বহীন মন্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো মহীরুহের ইমেজের কিছুই যায় আসে না।
নাহিদ ইসলামের সেই বক্তব্য নিয়ে তার পরের কয়েকদিন অবশ্য তাঁকে (নাহিদ ইসলাম) তুলোধুনো করেছে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল পত্রিকাগুলো। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান এবং ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের লেখা কলামগুলো উল্লেখযোগ্য।
ফিরে আসি সম্প্রতি জারি করা সরকারি অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে। এই অধ্যাদেশের শেষের দিকে খোদ ‘মুক্তিযুদ্ধ’কে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এইভাবে- ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙক্ষায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ’।
এই স্তবকে অধ্যাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ একাত্তরের বাস্তবতা বিরোধী! এ বিষয়েও সাংবাদিক মাসুদ কামাল তাঁর ‘কথা’ অনুষ্ঠানে (উল্লেখিত পর্বে) সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে জিজ্ঞেস করেছেন- ‘……বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙক্ষায়’ এই শব্দগুলো আপনারা কোথায় পেলেন!?
কারন, মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিতই হয়েছিল- ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা’ সম্বলিত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
মাসুদ কামাল বলেন- ‘সাম্য’ শব্দটি সমাজতন্ত্রের কাছাকাছি গেলেও বাকী শব্দগুলো একাত্তরের লক্ষ্য এবং প্রত্যাশার সাথে সাযুজ্যহীন!
সাংবাদিক মাসুদ কামাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন- “আপনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেন নি; ………!” বাকী কথাগুলো সেই অনুষ্ঠানের লিংক থেকে শুনে নেয়া যেতে পারে। লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=c02EahmXCuY
মাসুদ কামাল সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা নবায়নের কোন এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কিনা।
……আর এমনিতেই এই সরকার নানান ভুলভাল আর সমস্যায় জর্জরিত- এমতাবস্থায় এমন একটি সংবেদনশীল বিষয়ে এই রকম একটি অধ্যাদেশ জারী করার কারন কি, উদ্দেশ্য কী!?
আরেকটি বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই বিনীতভাবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা (শব্দ সৈনিক) আলী যাকেরের কাছে জেনেছিলাম- যেহেতু স্বাধীনবাংলা বেতারের শিল্পী-কলাকূশলীগণ মুক্তিযোদ্ধা কীনা এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছিলেন তাঁরা সেই সময়ে (দু’হাজার সালের পরে কোন একটি কাছাকাছি সময়ে), তখোন, তাঁরা হাইকোর্টে ‘রীট’ করে তাঁদের স্বীকৃতি স্থাপন করেছিলেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে।
ব্যাপারটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে- এখানে আইনগত একটি জটিলতা তৈরি হওয়ার আশংকা থাকে!
যেহেতু সরকার এই অধ্যাদেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ বলে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি শ্রেণীকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করেছে, এবং যেহেতু স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কলাকূশলীগণও এই পাঁচ শ্রেণীর অন্তর্গত, সেহেতু এই শিল্পী-কলাকূশিলীদের পদবী ‘মুক্তিযোদ্ধা’ থেকে বিচ্যুত করবার আগে সরকার কি হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি ফয়সালা করেছে!?
এটাতো নিশ্চয়ই মানি যে, সরকার চাইলে কোর্টের যে কোন রায় একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারেন যে কোন সময়েই।
কিন্তু প্রশ্ন হলো- স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কলাকূশলীগণের পদবী হরণের বেলায় সরকার সেটা (নির্বাহী আদেশ) দিয়েছে কীনা!
সেটা দিয়ে থাকলে তো কোন কথা নেই। কিন্তু সেই আদেশ যদি সরকার না দিয়ে থাকে তাহলে আইনের কোন লংঘন হয় কীনা- সেটা আইনজীবী কিংবা আইন বিশেষজ্ঞরা একটু বুঝিয়ে বললে খুশী হবো।
আগেই বলেছি- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন’ নিয়ে আমার ভিন্ন মত এবং ভিন্ন পর্যবেক্ষণ আছে। তারপরেও সে বিষয়ে আজ আর বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না। কারন, সারা দেশ-ই তো এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান করছে।
কমবেশী সবাই যেহেতু এই ‘সংজ্ঞা-নবায়নের’ বিরোধীতা করছে, নিজেদের বিরোধীতার কারন ব্যাখ্যা করছে- সেহেতু একই কথা দিয়ে কলেবর না বাড়িয়ে লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করতে চাই।
তবে শেষ করার আগে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা’ মহোদয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ- জন অসন্তোষ তৈরি করা একটি অধ্যাদেশ জারি করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের দল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের’ (প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার শত্রুদের) আপনি জাতির কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এ জন্য আপনাকে আরো একবার ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
নতুন প্রজন্ম, বিশেষত যারা এতদিন মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার বিরোধীতাকারি দলসমূহের চটকদার প্রচার-প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন; আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে পড়েছিলেন ধুম্রজালে- অন্তর্বর্তী সরকারের অধ্যাদেশে উল্লেখিত বিবরণ পড়ে তাদের (নতুন প্রজন্মের) দৃষ্টির কুয়াশা কেটে যাবে বলে আশাকরি।
আশা করছি এই প্রজন্ম নতুন করে ভাববে তাদের মা-মাটি আর মানুষ নিয়ে, নিজেদের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে।
নতুন প্রজন্মের জয় হোক।
জয় হোক আমাদের সন্তানদের।
জয় বাংলা।
সাংবাদিক মাসুদ কামালের ‘কথা’ অনুষ্ঠানের লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=c02EahmXCuY
——————————–
।। ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা মহোদয়………।।
মুক্তিযোদ্ধা- গবেষক কাওসার চৌধুরী সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই… জয় বাংলা..। একাত্তরে পাকহানাদার ও তাদের দোসর আলবদর- রাজাকার- আলসামশদের বিরুদ্ধে পিলে চমকানো শ্লোগান ও রণহুংকারই আমাদের গর্বের।
আমাদের অহংকারের। এই জয় বাংলা স্লোগানই আবার এ বাংলার আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলবে নিশ্চয়ই। এই রণধ্বনি কোন দল বা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আপামর বাঙ্গালীর। জয় বাংলা।
# ইশরাত জাহান, লেখিকা, প্রাবন্ধিক।