ঢাকা: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ মাখোমাখো। ৭১ এর যুদ্ধকালে মা বোনদের সম্মান লুটে নেয়া, অত্যাচারের কথা এখন আর স্মরণ বা স্বীকার কোনোটাই করতে চায় না বাংলা! বড় নির্মমতা সৎবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের জন্য।

কাশ্মীরের হেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লড়াইটা ভারত পাকিস্তানের,  কিন্তু জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হচ্ছে বাংলাদেশ। কখনো ইউনুস বলছেন যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা, কখনো ভারতের সাত রাজ্যের দিকে আঙুল তুলছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা।

এক অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সেনা কর্তা দাবি করেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানে হামলা করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত সেভেন সিস্টার্স দখল করে নেওয়া। এই ব্যক্তির আরও দাবি, ভারত নিজেই নাকি পহেলগাঁওতে নিজের নাগরিকদের ওপর হামলা করিয়েছে।

এমনকি শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও তিনি টেনে এনেছেন। ভারত বিরোধিতা করে বলছেন, “শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনস্ট করতে চায় কে? ভারত। এর পরেও কি আমরা হাত গুটিয়ে বসে থেকে নিজের অস্তিত্ব নিজেরা ধ্বংস করবো? আমাদের সতেরো কেটি মানুষ আছে। আমরা আমাদের শত্রুকে অবশ্যঅবশ্যই ধ্বংস করতে সক্ষম। আসুন আমার সাথে শপথ নেই। লড়বো শত্রুকে ধ্বংস করবো এবং গাজি হয়ে ফিরবো ইনশাআল্লাহ”।

উল্লেখযোগ্য যে, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশের অবস্থা বেশি থেকে বেশি খারাপের দিকে গেছে এবং যাচ্ছে। বেড়েছে ধর্ষণ, খুন খারাবি, কমেছে রোজগার, বাড়ছে বেকার সমস্যা।

বাংলাদেশ রাইফেলের (বর্তমান বিজিবি) প্রাক্তন ডিজি আলম ফজলুর রহমানের। বর্তমানে বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন এই আলম ফজলুর রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্টে তিনি লিখেছেন,

“ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিৎ হবে উত্তর পূর্ব  ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেয়া। এব্যাপারে চীনের সাথে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।”

একথা আমি বলেছি। কেন বলেছি তার বিশ্লেষণ হলো ভারতের বিজেপি সরকারের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে যে ভারতে ” এন আর সি” বা নাগরিক পুঞ্জি করে ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আবদ্ধ করে মুসলমানদের হত্যা করা। কিংবা ভারতের মুসলমানদের বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে পুশ করে পাঠিয়ে দেয়া। এই পরিকল্পনা ভারত নিয়েছে ইসরাইলের কাছ থেকে। আপনারা লক্ষ্য করছেন কিভাবে ভারতে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে।

আরো লিখেছেন, এই উপমহাদেশে মূলত দুটি মুসলমান দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। মালদ্বীপ এতো ছোট আর সামরিক ভাবে দুর্বল যে ভারতে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার কোনো দায়িত্ব মালদ্বীপ পালন করতে পারবেনা। তাহলে ভারতে মুসলমানদের জান এবং মাল রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে। এইতো কয়দিন আগে ভারতে মুসলমানদের ওকফ সম্পত্তির সবটাই বিজেপি সরকার কেড়ে নিয়েছে।আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে মুসলমানদের মুর্দাকে কবর দেওয়ার জায়গা পাওয়া যাবেনা। ভারতে কোনো মাদ্রাসা , মসজিদ থাকবেনা। কারণ শত শত মসজিদ , মাদ্রাসা ওয়াকফ জমির উপর অবস্থিত এবং ওয়াকফের টাকায় চলে। ওয়াকফ না থাকলে এইসব মসজিদ থাকবেনা। মাদ্রাসাও থাকবেনা। ইতিমধ্যেই ভারতের সরকার রাস্তা এবং খোলা স্হানে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে। অথচ হিন্দুরা রাস্তায় হোলি খেলছে এবং রাস্তায় দলবেঁধে অনুষ্ঠান করছে বাধাহীন ভাবে।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করার সাহস দেখালেন তিনি। “যদি ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের হুমকি কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কল্পনা করতে পারেন! তাই পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *