সিরাজগঞ্জ: বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য- সংস্কৃতি সব মুছে বাংলাদেশের বাঙালির উপর আরবীয় সংস্কৃতি চাপানোর দীর্ঘ প্রয়াস চলছে বাংলাদেশে। এবং বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই।
মৌলবাদী, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন সংস্কৃতি চুলোয় যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ঠাকুর পরিবারের কাছারিবাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত কাছারিবাড়িতে দুষ্কৃতীরা অবাধে ভাঙচুর চালায়।
সভ্যতার লজ্জা! রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ঘটনায় কানে মাছিও নাড়ে না প্রশাসন, সরকার। উল্টো দর্শনার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য দেখা বন্ধ করা হয়েছে। যদি আর কোনোদিন না খোলে কাছাড়িবাড়ি তবুও কেউ কিচ্ছু বলবে না।
রবীন্দ্রনাথের রচিত গান এখনও দুই প্রতিবেশী দেশের জাতীয় সঙ্গীত, সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলাদেশের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল ধর্মান্ধ জনতা ।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিক্রিয়া না জানালেও ভারত কড়া নিন্দা জানিয়েছে।
ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
গত মঙ্গলবার, একদল লোক বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় মিউজিয়াম কাছারিবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র
। এবং বিশ্বকবির পৈতৃক বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেছেন, এটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং হেফাজতে ইসলাম উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলির একটি “পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ”।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “একদল উন্মত্ত জনতা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে । আমরা এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি ।
এই হিংসাত্মক হামলা তাঁর স্মৃতির প্রতি অবমাননা । নোবেল জয়ী সাহিত্যিকের সর্বজনীন দর্শন, শিক্ষা, বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান ।”
নিন্দনীয় এই ঘটনায় যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত সরকার।
রণধীর বলেন, “চরমপন্থীরা সহনশীলতার নিদর্শনগুলি মুছে ফেলতে চায় ।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে শেষ করে দিতে চায়। এই হামলা চরমপন্থীদের একটা পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা ।”