ঢাকা: মানে লেগেছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কারণ স্টারমার ইউনুসের সাথে সাক্ষাতে রাজি হননি। চরম অপমান গিলতে হয়েছে তাঁকে।

ফলে টিউলিপের সাথে সাক্ষাতে না করলেন ইউনূস। টিউলিপ স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরের সময় ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, টিউলিপ একটি চিঠির মাধ্যমে ড. ইউনূসকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

দেখা এই কারণেই যে, টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা ও ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো।

তবে স্টারমার যেহেতু পাত্তাই দিলেন না ইউনূসকে, তাই মনে করা হচ্ছে টিউলিপের সাথেও সাক্ষাৎ করতে চাননি প্রধান উপদেষ্টা।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, অভিযোগগুলোর বিচার এখন আদালতের আওতায় এবং তিনি কোনোভাবেই আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে দেখা করব না, কারণ এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। আমি এতে কোনো বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি নিজের গতিতেই চলুক।’

ইউনূসের সাথে সাক্ষাত করবেন না স্টার্টার, টিউলিপকে না

টিউলিপ দাবার কঠিন এক চাল দিয়েছেন। সেটা গিলতে পারেননি ইউনূস।

টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি ইউনুসকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। চিঠিতে একদম ভদ্রোচিত ভাষায় টিউলিপ সিদ্দিক ইউনুসকে এক হাত নিয়েছেন।

চিঠির মাধ্যমে একদিকে নিজের সৎসাহস দেখিয়েছেন টিউলিপ। আরেকদিকে ইউনুসকে যে তিনি বাংলাদেশের সরকার প্রধান মনে করেন না তা পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

চিঠির শুরুতেই টিউলিপ লিখেছেন ‘ডিয়ার প্রফেসর ইউনুস’।

রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান হলে ‘অনারেবল এক্সিলেন্সিস বা প্রেসিডেন্ট বা প্রাইমমিনিস্টার অথবা চিফ এডভাইসর সম্বোধন করতেন।

দেখা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক চিঠির কোথাও একবারের জন্যও ইউনুসকে ‘চিফ এডভাইসর’ সম্বোধন করেননি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *