ঢাকা: ভিপি নুর অবরুদ্ধ, খবরটা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ছাত্র-জনতার অগ্রনায়ক ভি. পি. নুরুল হক নুর-এর উপর হামলা চালানো হয়েছে।
বুধবার তথা ১১ জুন গলাচিপা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিতি সভায় বিএনপিকে নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়ার জেরে ভিপি নূরের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এবং এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নিজ ইউনিয়নে চর বিশ্বাসে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মধ্যে বিরোধের ফলে চর বিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
গলাচিপা উপজেলার বকুলাবাড়িয় একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে সড়কে গাছের গুড়ি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা নূরের পথ আটকায়।
এবং তার পথ অবরুদ্ধ করা হয়। অবশেষে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে।
ভিপি নূর বলেন, আমাকে আমার নিজ এলাকায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী পুলিশ তাদের কাছে স্যালেন্ডার করেছে, কিভাবে এরা একটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।’
নুরুল হক নুর তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোষ্টে উল্লেখ করেন, গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজারে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা রাস্তায় গাছ ফেলে গুলতি (ছটকা), লোহার রড, রামদা নিয়ে তাদের পথরোধ করেন।
এ সময় স্থানীয় কয়েক জনকে মারধর করে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
নুরু তো বিএনপির হয়ে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কথা বলছিলেন। আবার তাকেই বিএনপির কিছু গুন্ডা বাহিনী রীতিমতো পেটালো।
এর আগে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছিলেন, ‘অন্য শীর্ষস্থানীয় দলের মতো আমরাও আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চাই।
কারণ, এ সময়টি নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত। তবে শুধু মৌলিক সংস্কারই নয়, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্যের সভায়ও বলেছি, জন–আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।’