বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের নেতাদের ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলার মাষ্টারমাইন্ড বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা তারেক জিয়া।

২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতের ‘মেটিকুলাস ডিজাইনার’ শান্তিতে নোবেল পাওয়া প্রফেসর ড.মুহম্মদ ইউনুস।

এরা দুজনেইতো নির্মম ও নৃশংস কায়দায় মানুষ হত্যার কুখ্যাত ষড়যন্ত্রকারি বা মাস্টারমাইন্ড। তাহলে তাদের মধ্যে লন্ডন বৈঠকে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আশা করাটা হবে নেহায়েত বোকামি।

যদিও তারা আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছেন।

যাতে দেশে অনেকেই খুশিতে গদগদ হয়ে উঠেছেন এই ভেবে যে অন্তত দেশে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের নহর বইবে।

গত আগষ্ট থেকে জাতির ওপর ইউনুস-জামাতি-হিযবুত-হেফাজতী-টোকাই দলের যে জগদ্দল পাথর চেপে বসেছে তা অপসারণ হবে।

এমন ভাবনা সাধারণ নাগরিকরা আশা করতেই পারেন।কারণ বাংলাদেশের নাগরিকরা অতি সহজেই অনেক কিছু ভুলে যায়।

অপরদিকে বিএনপি ভাবছে ড.ইউনুসতো তাঁর ঘোষিত এপ্রিল মাসের নির্বাচনের সময় থেকে পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজী হয়েছেন।

তারপর লন্ডনে গিয়ে তাদের নেতা তারেক রহমানের সাথে দেখা করে মিটিং করেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই ড. ইউনুসকে চিনতে অনেক অনেক বাকি বিএনপি নেতাদের , দেশের আপামর জনগণতো অনেক দূরে।

গত ১৩ জুন বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও অন্তবর্তী সরকার প্রধান ইউনুসের বৈঠকে পর যে যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেদিকে একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন গত ১৩ জুন’২০২৫ এ কেমন কৌশলগত বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরলাম খানিকটা বোঝার জন্য- “ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জনাব তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জনাব তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। জনাব তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টাও জনাব তারেক রহমানকে ফলপ্রসু আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।”

এই ঘোষণাতেই যে শুভঙ্করের ফাঁকি রেখে দিয়েছেন ‘ মেটিকুলাস ডিজাইনার’ ড.ইউনুস তা কিন্তু দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকা ‘২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার মাষ্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান বুঝতে পারেননি।

সেই যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে, ‘তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’

‘এই যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে’- এর মধ্য দিয়ে তিনি অনেক কিছুই অব্যক্ত রেখেছেন।

কারণ সকল প্রস্তুতি বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন তা কিন্তু স্পষ্ট নেই। আরেকটি বাক্যে বলেছেন-‘সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’

এই যে আগামী রমজানের আগের সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন তার সাথে কিছু শর্ত কিন্তু জুড়ে দিয়েছেন অত্যন্ত কৌশলে।

তা হলো-‘সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’

তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে সে ব্যাপারে কি কোন চিন্তা করে দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড়পুত্র জনাব তারেক রহমান ?

আমারতো মনে হয় তা ভাবার সময়-বিচক্ষনতা ওনার সেসময় ছিলনা। এই যে ‘ সংস্কার ও বিচার ’-এর মধ্যে শব্দের মারপ্যাঁচ দিয়ে আটকে রেখেছেন মেটিকুলাস ডিজাইনার ড. মুহম্মদ ইউনুস।

কবে সংস্কার ও বিচার হবে তার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা কি ঘোষণা করেছেন ড.ইউনুস?

তাহলে কোন আশ্বাসের ভিত্তিতে এধরনের একটি ‘ কূট’ যৌথ বিবৃতি দিলেন জনাব তারেক রহমান এমন প্রশ্ন যদি আপনার দলের নেতাকর্মীরাই আপনাকে করে কি জবাব আছে আপনার ?

গত ২৮ মে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে বলেছিলেন- ‘করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই অন্তবর্তী সরকারের নয়।

এর সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা সরকার। বর্তমান সরকারের এমন কোন অধিকার নেই।’

প্রশ্ন জাগে জনাব তারেক রহমান কি লন্ডনে গত ১৩ জুন ড. ইউনুসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন , নাকি ভুলে গেছেন ?

যেমনটি আপনার শ্রদ্ধেয় মাতা ( আমাদেরও শ্রদ্ধেয়) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ভারত সফরকালে গঙ্গার পানিবন্টন হিস্যা বা তিস্তা নদীর ব্যাপারে আলোচনা করতে ভুলে যেতেন।

কারণ ভারত সফর শেষে সাংবাদিকেরা যখন তাঁকে এসব বিষয়ে জানতে চাইতেন তখন তিনি বলেছিলেন তিনি ভূলে গেছেন বৈঠকে এসব বিষয় বলতে যা পুরনো সংবাদপত্র ঘাঁটলেই দেখা যাবে।

মনে পড়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ( যদিও আপনারা তাঁকে পছন্দ করেন না ) সেই গানের কলি- ‘ আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান। প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।’

আপনার ও আপনার দল বিএনপি’র ওপর বাংলাদেশের জনগণ ভরসা করে আছে অধীর আগ্রহে।

কারণ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারি দল আওয়ামীলীগকে তো আপনারা নিষিদ্ধ করেছেন। সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এদেশের সশস্ত্রবাহিনী পূর্ণ মর্যাদায় ভারতে রেখে এসেছে জোরপূর্বক।

তাই আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল ( আপনাদের দাবি অনুযায়ী ও দেশের অনেক জনগণ তাই মনে করে) হিসেবে আপনাদের ওপরই নির্ভর করছে এদেশের জনগণ।

আচ্ছা একটি বিষয় মনে পড়ে গেল লন্ডনের মিটিং ও যৌথবিবৃতি ঘোষণার সময়তো আপনাদের দলের অত্যন্ত সিনিয়র নেতা সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেবও উপস্থিত ছিলেন।

তিনিওতো রাজনীতি ও ব্যবসা বেশ ভালো বোঝেন। আপনি না হয় কোন কারনে অতটা নাও দেখতে পারেন বা চোখ এড়িয়ে গেছে বিবৃতির এসব বিষয়।

কিন্তু খসরু সাহেবের মত একজন ঝানু রাজনীতিবিদ প্লাস ব্যবসায়ীর চোখ এড়ালো কি করে সেটাই ভাবি।

কারণ ব্যবসার ক্ষেত্রে উনিতো নিশ্চয় নানা ধরণের খুঁটিনাটি চেক করেই তবে ‘ওকে’ করেন। এক্ষেত্রে উনিও এমন করলেন কেন ঠিক বুঝতে পারছিনা।

বিবিসি বাংলা অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী মাত্র কিছুদিন আগেই ( ২৮ মে’২০২৫) লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে লাখো লাখো বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে – আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘টালবাহানা’ শুরু হয়েছে বা চলছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।

কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে সেটি আপনারাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।”

ঢাকায় বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিচ্ছিলেন মি. রহমান।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিএনপি গত কিছুদিন ধরেই এবছর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের এখন পর্যন্ত অবস্থান হচ্ছে- ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন।

প্রধান উপদেষ্টা জাপানে “যে কোনো পরিস্থিতিতে এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার” পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে তার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এই যে রমজানের আগে অথবা এপ্রিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার একটি সম্ভাব্য সময় কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে দল দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল যা গত ৩০ মে আমি আমার একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছিলাম।

তাতে বলা হয়েছিল-“ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করছে।

তারা ডিসেম্বরের ‘তাড়াহুড়ো’ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রোজার আগে ফেব্রুয়ারি অথবা পরে এপ্রিলের কথা বলছে।”

তাহলে অর্থ দাড়াচ্ছে বিএনপি বা অন্য কোন দল কি বলছে তা কোনভাবেই মুখ্য নয়।

মুখ্য হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের তাবেদার তাদের নির্দেশিত ‘মেটিকুলাস ডিজাইনার’ ড. ইউনুস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ( জামায়াতসহ ইসলামী উগ্রবাদী দল, এনসিপি) কি ভাবছে ও প্ল্যান বা ডিজাইন দিচ্ছে সেটি।

আর সে কারণেই অন্তবর্তী সরকার প্রধান ( যদিও জোর করে সরকার প্রদান) নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুস বাংলাদেশের জনগনের কোটি কোটি টাকা খরচ করে লন্ডন ছুটে গেছেন।

দেশবাসীকে বোকা বানাতে না পারলেও এদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে বড় ধোঁকা দিতে সক্ষম হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফজলুল বারী ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তারেক জিয়া ও ইউনুসের বৈঠকের ফলাফল উদ্দেশ্য করে লিখেছেন- ‘আমি ১/১১ ঘটাইয়া তোমারে ফ্যানের সাথে ঝুলাইছিলাম!

পনের বছরের মুচলেকা লেখাইয়া দেশে আসতে দেইনি। তোমার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, লুৎফুজজামান বাবরকেও জেলে রাখছি বছরের পর বছর।

আমার ১/১১ এর কারণে তোমার মা সেনানিবাসের বাড়ি হারাইছেন। সেনানিবাসের সেই বাড়িটা আর কোনদিন তোমরা ফেরত পাবেনা।

কারণ শেখ হাসিনা সেখানে শতশত ফ্ল্যাট বানিয়ে আর্মি অফিসারদের পরিবারগুলোকে দিয়েছেন।

তোমার মা যে এতদিন জেলে ছিলেন তার হাতের আংগুলসব বাঁকা হয়ে গেছে এর কারণও আমার ওয়ান ইলেভেন!

আমি জানি তোমার সংগে আমার এই ছবি সেনাবাহিনীর সেই সদস্যদের ক্ষুব্ধ করবে যারা আগামীতে তোমাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে!

কারণ তোমার মায়ের হুমকি আছে তাদেরকে দেখে নেবার! কিন্তু আমারও যে বাঁচার বড় সাধ হয়!

তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য আজ আমাকে যারা চাকরি দিয়েছিল সেই ছাত্রদের দূরে সরিয়ে দিয়ে তোমাকে কাছে টানলাম।

সবাই দেখলো আমি কত বেঈমান! এরপরও তুমি যে আমাকে নিরাপদ রাখবে এর কোন ভরসা পাচ্ছিনা!

কারণ এই তুমি এরশাদের পা ছুঁয়ে সালাম করে তার সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলে।’

প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারীর কথা কতটুকু সত্য জানিনা, তবে একেবারে ফেলেওতো দিতে পারছিনা।

তিনি নিশ্চয় তার অভিজ্ঞতা থেকেই এমন মন্তব্য করেছেন।

একুশ আগষ্টের মাষ্টারমাইন্ড তারেক জিয়া না চব্বিশের মেটিকুলাস ডিজাইনার নোবেল লরিয়েট ইউনুস ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে টিকে থাকে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

ইতিহাস বলে রাজনীতি যতদিন থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্রও থাকবে। তবে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রীরা খানিক জিতলেও সামগ্রিক সফলতা পায়না।

# রাকীব হুসেইন, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *