সিরাজগঞ্জ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ঠাকুর পরিবারের কাছারিবাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত কাছারিবাড়িতে দুষ্কৃতীরা অবাধে ভাঙচুর চালায়।

সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইউনূস সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই।

তবে ভারত সরকার কড়া বার্তা দিয়েছে এর আগে। এবার ত্রিপুরায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হলো।

রবীন্দ্রনাথের পৈত্রিক ভিটে ও বাড়িতে আক্রমণের প্রতিবাদে কৈলাসহর মনু ল্যান্ড কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা কমিটির সভাপতি বিমল কর বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বাড়ি যারা ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।

এদিনের বিক্ষোভ প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা কমিটির সভাপতি বিমল কর, বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তথা পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুন সাহা ও দীপঙ্কর গোস্বামী প্রমূখ।

এছাড়াও, বিজেপি সিপাহীজলা জেলা দক্ষিণাংশের উদ্যোগে শ্রীমন্তপুর চেকপোস্টে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্বারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বাংলাদেশ এর পৈতৃক ভিটায় আক্রমণ ও ধ্বংসলীলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুশ্রী প্রতিমা ভৌমিক মহোদয়া, ধনপুরের বিধায়ক শ্রী বিন্দু দেবনাথ মহোদয়, বিজেপি সিপাহীজলা জেলা দক্ষিণ অংশের সম্মানিত জেলা সভাপতি প্রিয় উত্তম দাস মহোদয়।

রবীন্দ্রনাথ সারা বিশ্বের কবি। দল-মতের ঊর্ধ্বে তিনি বিশ্বকবির উপাধি পেয়েছেন।

বর্বরোচিত, ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।এই হামলা শুধু এক ঐতিহাসিক স্মৃতির ওপর নয়, এটি সাহিত্য সংস্কৃতি এবং মানবতাবাদী ভাবধারার ওপর সরাসরি আঘাত। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল একজন কবি, সাহিত্যিক বা দার্শনিক নন — তিনি ভারতের আত্মিক চেতনার প্রতীক।

হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর ত্রিপুরা জেলার কার্যকর্তারা রাস্তায় নেমে ধিক্কার মিছিলের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *