বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার প্রধান নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুস সম্প্রতি ব্যক্তিগত সফর শেষ করে ১৪ জুন দেশে ফিরেছেন।

যদিও ইউনুস গং তাঁর ও তাঁর বিশাল পারিষদবর্গের সফরকে সরকারি সফর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু লন্ডন পৌঁছানো এবং লন্ডন ত্যাগের আগ পর্যন্ত সে দেশের কোন সরকারি প্রোটোকল তাকে দেয়া হয়নি।

এমনকি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করেও বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারি ইউনুসকে সাক্ষাত দেননি।

এ নিয়ে ইউনুসের প্রেস সচিব যিনি ডাস্টবিন শফিক নামে দূর্নাম কুড়িয়েছেন তিনি একেক সময়ে একেক কথা বলেছেন।

শুধু শফিক নন খোদ নোবেল লরিয়েট ইউনুসও বিবিসি’ র সাথে সাক্ষাৎকালে মিথ্যের অবতারনা করেন নির্লজ্জভাবে।

পশ্চিমা বিশ্বের কাছে অনেক প্রিয় হলেও সেই জগতেরই অন্যতম দেশ বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউনুসকে একেবারে পাত্তাই দিলেন না।

স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ও অপমানিত- লজ্জিত বাংলাদেশের নাগরিকগণ।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।

তবে বাংলাদেশের সংবাদপত্র বা সংবাদমাধ্যম অনেকটা কুলুপ এঁটে বসে আছে এ ব্যাপারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে–

সরকারি সফর হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কেন সাক্ষাৎ দিলেন না— বিবিসির এ প্রশ্নে ড. ইউনূস বললেন ‘আমরা ওনার (কিয়ার স্টারমারের) সঙ্গে দেখা করতে খুবই আগ্রহী ছিলাম। হয়তো তিনি ব্যস্ত ছিলেন বা অন্য কোনো কারণে তা সম্ভব হয়নি।’

এখন জনমনে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে, সরকারি সফর হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ‘ব‍্যস্ত’ থাকার তো কথা না।

যদি সরকারি সফরও হয়, তবে দাওয়াত দিয়ে কেন তিনি ব‍্যস্ত হয়ে গেলেন? আদতে ইউনুচ সাহেব ‘ব্যক্তিগত’ সফরকে ‘সরকারি’ সফর হিসাবে চালিয়ে দিয়েছেন – যাতে করে রাষ্ট্রের টাকায় বিলাসিতা করতে পারেন।

ইউনুস সাহেব একই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আরও বলেছেন- ‘অন্য কোনো কারণে তা সম্ভব হয়নি।’

জনমনে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে কি এমন কারণ?

আদতে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ টিউলিপকে যে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলায় বাংলাদেশে আসামী করা হয়েছে- এটা সবার কাছে পরিস্কার।

এতে ব্রিটিশ ক্ষমতাসীন দল এবং সরকার বিব্রত হয়েছে। ড. ইউনুচ এতো বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছেন যে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে গণহারে হয়রানী করছেন, যার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেটা চিন্তা করার মতো হিতাহিত জ্ঞানশূন‍্যতায় তিনি ভুগছেন।

সুতরাং যা হওয়ার তাই, হয়েছে- দেশের মানুষের কাছে নিজে ছোট হয়েছেন, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে বেইজ্জত করেছেন।

বিবিসি’র প্রশ্নের জবাবে তিনি যে পুনরায় মিথ‍্যাচার করেছেন সেটাও রেকর্ড হয়ে থাকলো দেশে বিদেশের সবার কাছে।

আসলে একটা অন‍্যায় বা মিথ‍্যাকে যখন আপনি আরেকটি অন‍্যায় বা মিথ‍্যা দিয়ে ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করবেন- তখন সেটা বুমেরাং হয়ে নিজের উপর বর্তায়।

ইউনুচ সাহেব- আপনার নিশ্চয় মনে আছে- বাংলার সাথে ষড়যন্ত্র করে অনেক ক্ষমতাশালী হয়েছিলেন মীর জাফর।

কিন্তু মারা গেলেন সামান‍্য কুষ্ঠরোগে। লর্ড ক্লাইভ নিজেই নিজের হাতে ক্ষুর চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মীরজাফরের ছেলে মীরনের মৃত‍্যুও হয়েছিল মর্মান্তিকভাবে। কেউ বলেন- বর্জ্রপাতে কেউ আবার বলেন- আততায়ীর হাতে।

তার আগে সে নিজ হাতে হত্যা করেছিল আমিনা বেগম, ঘষেটি বেগমকেও। যারা নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মসনদচ‍্যুত করে হত‍্যায় ভূমিকা রেখেছিল।

আর স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত‍্যায় জড়িতদের বিচার তো বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে।

এ ঘটনার নেপথ‍্যে থাকা জিয়াউর রহমানও একই কায়দায় খুন হন, যার লাশটি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খন্দকার মোশতাকের মৃত‍্যুর পর পুলিশ পাহারায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও বিক্ষোভের মুখে তা সম্ভব হয়নি।

আপনি ড. ইউনুচকেও ইতিহাস একদিন দোষী সাব্যস্ত করবে, ক্ষমা করবে না। আপনার মৃত্যুর পর আপনার নাম বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণা এবং থু-থু ছাড়া স্বরণ করবে না।

আপনি চট্টগ্রামের যে জোবরা গ্রাম এবং জন্মস্থানের নাম জপতে জপতে বিশ্বপরিচিত হয়েছেন- সে জন্মস্থানের মাটিতে আপনি স্বাভাবিক‍ভাবে শায়িত হতে পারবেন কিনা- সেটাই শংকা রয়ে যাচ্ছে।

এরকমভাবে আরো অনেকেই তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। লন্ডনে কয়েকদিন ধরে ইউনুসের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ করেছেন ইউনুস বিরোধীরা।

যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে কিঞ্চিৎ।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাস্টবিনে ইউনুস- শফিকের পোষ্টার লাগিয়ে প্রতিবাদের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ জনতার গালিতে ভীতসন্ত্রস্ত প্রেসসচিব শফিকের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *