ঢাকা: ৯ তারিখে মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন যাত্রার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাঁর সহযোদ্ধারা নানা রকম ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলো ইউনুসের এই সফরের মাহাত্ম্য প্রচার করে।
বলা হয়েছিলো ইউনুসের এই সফর দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সফর!
গ্রেটবৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার ইউনুসকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উম্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন!
এই সফরে ইংল্যান্ড, ইউরোপে আওয়ামী লীগের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে আলোচনার জন্য বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ইউনুসকে লন্ডনে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন!
এমন অনেক কথা প্রচার করা হয়েছিলো। তবে এইগুলো সব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তবে হওয়ার মধ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে শুধু তারেক রহমানের সাথে বৈঠক।স্টারমার তো পাত্তাই দিলেন না মুহাম্মদ ইউনূসকে। তাঁর সাথে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ইউনুস গং প্রতিহিংসাবশত বঙ্গবন্ধুর নাতনী, শেখ রেহানা কন্যা বৃটিশ এমপি ও সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকীর নামে বাংলাদেশে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে।
তাদের এই পরিকল্পিত মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিউলিপ সিদ্দিকী তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দিয়ে বৃটিশ সরকারকে তদন্তের আহ্বান জানান অত্যন্ত সাহসের সাথে।
বৃটিশ সরকার এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা দিয়ে পুংখানুপুঙ্খ তদন্ত করে এবং উক্ত অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দেয়।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা পায়নি।
এদিকে, এটি বলাই যা যে, মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাবদিহির ভয়েই ইউনুস টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেন।
এবার ফের যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আগামী ২২ জুন সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য টিউলিপ সিদ্দিককে অনুরোধ করা হয়েছে।
রবিবার, ১৫ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশ ঢাকার পাঁচ ঠিকানা এবং দুটি থানার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।