ঢাকা: বাংলাদেশে এখন মবের উৎসব চলে। ৫ আগস্টের পর দেশে সহিংসতা, নির্যাতন, নারী ধর্ষণ মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটনা বেড়েই চলেছে।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলেছে দেশে। মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোদ্ধা জামায়াত, হিযবুত তাহরী।

জঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস মেতেছেন ষড়যন্ত্রে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাই আশঙ্কা করছেন।

নির্বাচনের পরিবেশকে অশান্ত করে তোলার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিকল্পিতভাবে উসকানিমূলক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে নির্বাচন না করা বা নির্বাচন দেরি করার জন্য।

বিভিন্ন কুকর্ম করে বেড়াচ্ছে এরা। রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার চক্রান্ত তো চলছেই।

আগামি নির্বাচনে এই মব ই মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এই ঘটনা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে জানালা-দরজা ভাঙচুর করে তৌহিদী জনতা নামে জামায়াত ও হিজবুতের নেতাকর্মীরা। সবটাই ষড়যন্ত্রমূলক।

পাকিস্তান আমলেও এমনকি ৭১ সালেও কুঠি বাড়িতে আক্রমণ হয়নি কারণ পাকিস্তানের অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ভালবাসতো। ইয়াহিয়াদের মত লোকও আক্রমণ করেনি।

এক নোবেল জয়ীর স্মৃতিতে আক্রমণে আরেক নোবেল জয়ী ইউনুস সরকার এর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলছে কিছু নষ্ট হয়নি!

দেশে যাতে ভয়, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরে এবং শান্তিমতো নির্বাচন না হয় তার জন্য এত ষড়যন্ত্র ।

৫ আগস্টের সরকার পতনের পর দেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে মব।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পাড়া-মহল্লায় ছিনতাইকারীদের নেতৃত্বে এই মব সংস্কৃতি দিনে দিনে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।

মবের নামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মব সংস্কৃতি ও সহিংসতা যদি এখনই রোধ করা না যায়, তাহলে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে পুরো জাতি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

বিশ্লেষরা বলছেন, “দেশে এক নতুন ধরনের হাইব্রিড অরাজকতা শুরু হয়েছে।

জামায়াত-হিযবুতের পুরনো কৌশল এবং তৃতীয় পক্ষের আর্থিক ও কৌশলগত সহায়তায় দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।

এসব চক্রান্ত রুখতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *