ঢাকা: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ মানবাধিকার কমিশন।

সোমবার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ফলে বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব হবে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা মুহাম্মদ ইউনূসের মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ।

গত মে মাসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ থাকবে।

পরে আবার ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য তারা নিরাপদ বোধ করছেন না। তবে নিরাপত্তা কোথায় বিঘ্নিত হচ্ছে, সেটা বলতে পারেননি।

অথচ দেখা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের নিরাপত্তার বাইরে চলে গেছে জনগণ। মব, নির্যাতন, সংখ্যালঘু অত্যাচার, ডাকাতি সব শুরু হয়েছে। সরকার নীরব।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা, দেশের রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

লন্ডনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক থিঙ্কট্যাংক চ্যাথাম হাউসে আলাপচারিতায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ বা অন্য কোনও নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।

সোমবার সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন আনা এবং এ সংক্রন্ত সব কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

এটি অন্যায্য ভাবে সাংগঠনিক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।’’

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল এবং দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *