ঢাকা: ভারতের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক কুঠিবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে ‘চলো অভিযান’ নামে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয়।
“বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতির মহিমান্বিত প্রতীক, বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অস্তিত্ব মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে—বিজেপির ডাকে ‘বাংলাদেশ উপদূতাবাস চলো’ অভিযান” হয়।
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দুপুর ৩টায় এই অভিযান শুরু হয়, যাতে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন।
এই ঘটনাকে বিজেপি ‘বাঙালি সংস্কৃতির উপর আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার চক্রান্ত বাংলাদেশে বহু আগেই শুরু হয়েছে।
নিজেদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও মৌলবাদী গোষ্ঠির দ্বিধা দেখা যায়। মাদ্রাসাগুলোতে ‘আমার সোনার বাংলা ‘ গাওয়া হয় না।
যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান এটি, তাতেই আপত্তি। আমার সোনার বাংলা’ কে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী হিন্দু গান মনে করে। মাটি’কে মা বলতে তাদের আপত্তি।
এবং এই ভাঙচুর হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
বিজেপি দাবি করেছে, এটি ‘জিহাদি’ গোষ্ঠীর কাজ, যারা বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঠাকুর পরিবারের ঐতিহ্য ধ্বংস করতে চায়।
শাহজাদপুরের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা এবং ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, বাংলাদেশে ঠাকুর পরিবারের স্মৃতিচিহ্নের উপর আক্রমণ বাঙালি সংস্কৃতি এবং ভারতের ঐতিহ্যের উপর একটি সরাসরি আঘাত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি নন, তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়।
তাঁর স্মৃতিচিহ্নের উপর আক্রমণ বাঙালি সংস্কৃতির অস্তিত্ব মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র।”
দিল্লিতেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিজেপি একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
দিল্লি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা ১৬ জুন বিকেল ৩:৪৫-এ তিন মূর্তি চক থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ত্রিপুরাতেও চলছে বিক্ষোভ, মিছিল।
ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার সামনে এক জোরালো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়ির অডিটোরিয়ামে উগ্র মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের বর্বরোচিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে ভারতে।