ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া আইন এনেছেন তিনি।

উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিনিদের স্বার্থে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরানো শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে, অভিবাসীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাশও৷

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “সরকারের এই কাজ আমরা সমর্থন করছি না ৷”

১১ এপ্রিল থেকে সেই দেশে কার্যকর হয়েছে ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’।

কোনোরকম বৈধ নথি ছাড়া আমেরিকায় বসবাসকারী অভিবাসীদের তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরাতে প্রথম থেকেই কঠোর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷

অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানোর জন্য দেশজুড়ে অভিযান চলছে ৷

তবে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। এই নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস উত্তপ্ত।

প্রায় ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বিরুদ্ধে রবিবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী নীতির এবার বিরোধিতা করলেন গ্র্যামি জয়ী সঙ্গীতশিল্পী শাকিরা।

তাঁর মতে, এই নীতির কারণে প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে অভিবাসীদের। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

উল্লেখযোগ্য যে, শাকিরা আমেরিকার অভিবাসী। সাকিলার কিশোরী সময় কেরিয়ার গড়ার জন্য কলম্বিয়া থেকে আমেরিকায় আসতে হয়েছিল তাঁকে।

নিজের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে গায়িকা জানিয়েছেন, সব মানুষের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা উচিত।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকায় অভিবাসী হওয়া বেদনাদায়ক। ক্রমাগত ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

সকলের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ হওয়াটাই কাম্য। রাষ্ট্র অভিবাসন নীতির পরিবর্তন করতেই পারে, তবে মানুষের প্রতি অমানবিক ব্যবহার করা উচিত নয়।’

অভিবাসীদের একত্রিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি পরোক্ষভাবে।

তাঁর কথায়, ‘আমাদের আগের তুলনায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়াজ তুলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গোটা আমেরিকা জুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি নিউইয়র্কেও তাই!

নিউইয়র্কের রেস্টুরেন্ট মালিকরা জানান, গ্রেফতার আতঙ্কে অনেক অবৈধ অভিবাসী বাইরে খেতে বা শপিং করতে বের হচ্ছেন না।

এসব অভিবাসী মনে করছেন, কোনো রেস্টুরেন্ট বা দোকানের ভেতর থাকা তাদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এজন‍্য ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এই অবস্থায় দোকানপাটে প্রায় ৩০% ব‍্যবসা কমে গেছে।

এই অবস্থায় বহু বাংলাদেশী চাপে পড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির আওতায় এখন পর্যন্ত ১১৮ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ফেরত আসাদের মধ্যে ১১১ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। সর্বশেষ ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *