জাহাঙ্গীরনগর: একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশে কোনোদিন কম্প্রোমাইজ হবে না। একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল স্তম্ভ।

একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ মীমাংসিত। আর এই মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী একদল মানুষ।

এই দেশ একাত্তরের,এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের।একাত্তর,মুক্তিযুদ্ধ,আওয়ামীলীগ মানেই বঙ্গবন্ধু…….।

অথচ একাত্তরের জায়গায় চব্বিশ ঢোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।

একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, সংবিধান, দেশের নাম, করিডোর, বন্দর ইত্যাদি নিয়ে পরিকল্পিত বিতর্ক-বিভ্রান্তি তৈরী করে ইউনুস সরকার দেশকে কোন দিকে নিতে চাইছে?

জঙ্গী, সন্ত্রাসীরা কেবল চব্বিশকে একাত্তরের সাথে মেলাতে পারে। বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পর থেকে তামাশা শুরু হয়েছে।

মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলছে।

এই সাহস দেখানো হচ্ছে ইউনূসের আস্কারাতেই।

এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের (একাংশ) শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে তাঁরা উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।আজ বুধবার সকালে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বরাবর দেয়া একটি স্মারকলিপিতে এই প্রস্তাবনা দেয় সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে সেখানে বলা হয়েছে,

‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আন্দোলন একই মুক্তির বোধ থেকে উৎসারিত। ৭১ ও ২৪ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একই মুক্তির বোধের পরিচায়ক।

তাই বঙ্গন্ধুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন, তাকে অস্বীকার করে ৭১ ও ২৪ কে প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা।

যা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী ‘রেজিমেরই’ মনেবৃত্তি। এই অপচেষ্টা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে যাবে। আমরা সর্বকালের (৭১ থেকে ২৪) মুক্তির বোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীলরা তা হতে দিতে পারিনা।

১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর মুক্তিকামী বোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমাদের এই প্রস্তাবনা।

তাই, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের প্রস্তবনা ব্যক্ত করছে।

শুধু এখানেই শেষ নয়, এতে আরো তিনটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে।

*শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে লালন শাহ হল বা কাঙাল হরিনাথ মজুমদার হল,

*শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে কাঁকন বিবি হল

*বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে চন্দ্রাবতী হল।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে চলছে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।

এবং এই নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ঘটছে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

সারা দেশের ভাস্কর্যে চলছে ভাঙচুর। এই কী নমুনা চব্বিশের? এ তো সন্ত্রাসবাদ! পাকিস্তানপন্থীদের কাজ!

সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাধিক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাহলে কোন দৃষ্টিতে একাত্তর এবং চব্বিশ এক?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *