ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে এবং বার বার মিথ্যা মামলা দেখিয়ে জেলে আটক রেখেছে এই অবৈধ সরকার।
তাঁর একটি অপরাধ তিনি জীবনবাজি রেখে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
মোশাররফ হোসেনকে রাজধানীর পল্টন থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই মামলায় তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমানের আদালত এই আদেশ দেয়।
এর আগে পল্টন মডেল থানার এসআই বিমান তরফদার সাবেক এই মন্ত্রীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানির সময় তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
মোশাররফের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে বলেছেন, ‘আমার মক্কেলের বয়স এখন ৮২। তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ।
তাঁকে ১৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। প্রতিটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। যখনই তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পাবেন, তখনই তাঁকে নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।’
‘আমার মক্কেল একজন বয়স্ক মানুষ। আপনার (বিচারক) সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর শরীরটা ভালো নেই।
তিনি কোনো ধরনের হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।
অন্তর্বর্তী সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
তাঁদের দোষ তাঁরা যুদ্ধ করে এই জীর্ণ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই দোষে এখন কারাগারে আছেন। জীর্ণ জাতির মুখে ভাষা জাগানো ছিলো তাঁদের ভুল।
প্রতিদিন লীগের কমপক্ষে হাজার খানেক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হচ্ছেন। এখন দেশের জেলখানাগুলোতে জায়গা আর অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।
এইসব করা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার জন্য।
হয়রানিমুলক মামলায় লাখ লাখ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।