ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি-জামায়াত, এনসিপি ও ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী মনে করে বসেছে তারা আবার ‘দেশ স্বাধীন করেছে’।

তারা কখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল।

এখন  দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সরকার সরিয়ে দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে।

শেখ হাসিনার নামে একের পর এক মামলা দেয়া চলছে।

অথচ রাজপথে মিছিলে মিটিং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা পরিণত হয়েছেন আয়রন লেডিতে।

জীবনে কমপক্ষে ১৯ বার প্রাণে বেঁচে যাওয়ার পরও এখনও অদম্য , সাহসী একজন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট এই হাসিনাকেই গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে গিয়ে ২৪ জন আওয়ামীলীগ কর্মীকে হত্যা এবং পাঁচশো এর বেশি মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিলো বিএনপি ও জামায়াত।

পিতা বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন শেখ হাসিনার বয়স মাত্র ২৮ বছর।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল বিএনপি ও জামায়াত।

অথচ ৩৫ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে শেখ হাসিনা চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন ” অপরাধী তুমি যেই হও, শাস্তি তোমায় পেতে হবে।”

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল বিএনপি ও জামায়াত।

আমরা তো ভুলে যাইনি কিছু।

এবার সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে বিএনপি।

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সিইসিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

দশম, একাদশ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি।

এতে তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান বলেছেন, বিতর্কিত এই তিন নির্বাচনকে ঘিরে বারবার অভিযোগ করার পরও তৎকালীন সিইসি ও সংশ্লিষ্টরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।

আমরা আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিএনপির সালাহ উদ্দিন খান বলেন, এখানে সিইসি ও ইসি সচিব ছিলেন। আমরা তাদের কাছে অভিযোগ জমা দিলাম।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *