ঢাকা: দেশের জনসাধারণ যেটা প্রথমেই চায় সেটা হলো, জিনিসপত্রের মূল্যহ্রাস। নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব জিনিস আছে সেগুলোর দাম না কমলে দেশে হাহাকার লাগে। এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ আমেরিকা নয়।
তবে এবার যে-বাজেট পেশ হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস তাতেও দরিদ্রদের জন্য জাদু রেখেছেন।
দেশের জনগণ পরিষ্কার বলছে, এই বাজেট গরীব মারার বাজেট!
বাজেটের কোনো বাস্তবতা নেই। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের চাপ অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণ মানুষ দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারছে না। বাজারে গেলেই বোঝা যায় বাজেট আসলে কার জন্য!
আমরা কি সত্যিই উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি? না কি এই বাজেট কেবল কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণিকে সুবিধা দিচ্ছে?
প্রধান উপদেষ্টা ১০ মাসে ১১ বার বিদেশ ভ্রমণ করেন, আর বাংলাদেশের জনগণ একবেলা ভাতের জন্য হাহাকার করছে।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় খরচের এক অন্ধ উৎসব চলছে। জনগণ ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, ও নিরাপত্তার জন্য হাহাকার করছে।
রাষ্ট্র বলছে—টাকা নেই, কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র নিজের আরাম-আয়েশে কোটি কোটি টাকা ঢালছে—এগুলো কাদের টাকা? জনগণের!
তবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এইসব দিকে নজর দেবেন না।
তিনি বলেন, এক বাজেটে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয় না।
তিনি বলেন, “অনেকের ধারণা হচ্ছে একবারে এমন এক বাজেট আমি করব যাতে ট্যারিফ, ভ্যাট, ট্যাক্স একেবারে সব কমে যাবে। আয় বাড়বে, ব্যবসা বাড়বে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। এটা কেমন বাজেট? এটা তো আকাশ থেকে পড়া একটা বাজেট। এটা হয় না, এক বাজেটে এগুলো হয় না।”
রবিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।