ঢাকা: বিচারহীনতা আর অবহেলার বিরুদ্ধে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো একত্রিত হয়েছেন শাহবাগ মোড়ে। তারা শুধু ন্যায্য বিচার নয়, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মানবিক সম্মান চাচ্ছেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাবলির সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ন্যায়বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন হচ্ছে—একটি জাতিগত সচেতনতার আহ্বান।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সোমবার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে তারা এই আন্দোলন শুরু করেন।
দেখা যায় , দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে সড়কে জ্যাম দেখা দেয়। যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে অনুরোধ করে।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর এই বিষয়ে বলেন, “বিক্ষোভকারীরা প্রায় এক ঘণ্টা আগে শাহবাগ ছেড়ে দিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল আলম সবুজ বলেন, আমরা শাহবাগে সড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছি।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করাবেন।
তাই মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে যদি আমাদের কোনো কিছু জানানো না হয় তাহলে আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।
আমরা ভেবেছিলাম নতুন সরকার আসায় আমরা সুষ্ঠু বিচার পাব। কিন্তু আমরা সেটা পাইনি। বর্তমান সরকার আসার পর অনেক আসামি মুক্তি পেয়েছে কিন্তু আমাদের বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।