ঢাকা: জুলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন। জুলাই আদর্শ বলতে কিছু নেই—এটি হলো বিচারাধীন এক ব্যক্তির আত্মরক্ষার গল্পকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘যোদ্ধা’ শব্দটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এটি সাধারণত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যুদ্ধ করেছেন।

“জুলাই যোদ্ধা” নামক নতুন একটি রাজনৈতিক চক্রান্তবাদী শ্রেণিকে যোদ্ধার সম্মান দেওয়া মানে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে অবমাননা করা।

গুটিকয়েক দু একজন মারা গিয়েছে, বাকি সব ষড়যন্ত্রমূলক। এবং নামগুলো তালিকাভুক্ত করে আন্দোলনকে আরো সোচ্চার করা হয়েছে।

যারা এমনি এমনি মারা গিয়েছেন তাদের নাম পর্যন্ত এই তালিকায় চলে এসেছে। তবে জুলাই তে যারা মারা গিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই শহীদ না।

ময়নাতদন্তের জন্য ৯ মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উঠানো-মাথায় পাওয়া গেছে দুইটি স্নাইপার রাইফেলের গুলির স্পষ্ট চাপ যা একদম ছিদ্র করে বের হয়ে গেছে মাথার সামনে থেকে পেছন সাইডে!

সবগুলো হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ভাবে করেছে ইউনুস বাহিনী । এজন্য লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের কথা উঠলেই ইউনুস গং সরাসরি না করে দিয়েছে।

এদিকে হৃদরোগে মারা যাওয়া ফিরোজ আহমেদের নাম দেখা গেলো গেজেটে!

যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ভাড়া থাকতেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ।

জানা গেলো, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ওই বাড়িতে লুটপাটের পর আগুন দেয় একদল লোক।

বাড়িতে আটকা পড়েন ফিরোজ আহমেদের স্ত্রী-সন্তানরা। পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে ফুসফুসে ধোঁয়া ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় তিনি মারা যান।

সেই ফিরোজ আহমেদ নাকি জুলাই শহীদের গেজেটে স্থান পেয়েছেন।

সেই যে তার বাড়িতে আগুন দিলো, তারা কারা? ষড়যন্ত্রকারী এরাই হবে।

আসলে জুলাই হত্যাকাণ্ড,ক্ষমতা দখলের রক্তাক্ত নীলনকশা ফাঁস হওয়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই মাস এক বিভীষিকাময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

আন্দোলনের নামে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র, এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা ছিলো এটা।

একজন উচ্চ পর্যায়ের এনসিপি নেতা, যিনি বর্তমানে ইউরোপে অবস্থান করছেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউরোপভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,

পুলিশের গুলিতে মারা গেছে মাত্র ৭ জন। কিন্তু আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে এবং আন্তর্জাতিক সহানুভূতি অর্জনের জন্য বাকি ২১৩ জনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটানো।

তাহলে বুঝুন এবার?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *