ঢাকা: আসলে তারেক জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হবার ইচ্ছা জেগেছে, এবং শেখ হাসিনা ১৭ বছর ছিলেন, তিনি কীভাবে ১০ বছর থাকেন? তাই বিএনপি ১০ প্রধানমন্ত্রীত্ব মানতে নারাজ।
এবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐকমত্যের প্রয়োজনীয়তা, নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে একটি টকশোতে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রস্তাবনার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, যে ব্যক্তি সাত বা নয় বছরে স্বৈরাচার হননি, তিনি ১১ বছরে হঠাৎ করে স্বৈরাচার হবেন—এই যুক্তি টেকে না।
বলেন, এই ব্যবস্থায় যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়, সেই দলের সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেন কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। এটা প্রেসিডেনশিয়াল সিস্টেম নয়, যে নির্দিষ্ট মেয়াদের সীমা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার সততা, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং দেশসেবায় প্রশ্নাতীত হন, কেবল তাহলে তাকে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে আটকানোটা যুক্তিসঙ্গত।
টকশোতে রুমিন ফারহানা বলেন, এনসিপি গঠন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো আসলে বিএনপিকে ঠেকাতে ও নির্বাচন পেছাতে নেওয়া কৌশলের অংশ। এসব হচ্ছে রাজনৈতিক শয়তানি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য হঠাৎ এতগুলো দল দৌড়াচ্ছে, এটা উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়। ভুঁইফোড় দল তৈরি করে সরকার চায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরতে, যদিও বাস্তবে তারা কোনো জনপ্রতিনিধিত্ব করে না।
ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে ভোটাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের হাতে সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জনপ্রতিনিধি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচন তার ছিটেফোঁটাও মানেনি।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে কোনো ব্যক্তি, যিনি জনপ্রিয় নন, তিনিও ক্ষমতায় থেকে যেতে পারেন—এটাই স্বৈরাচারের পথ খুলে দেয়। তাই কাগজে-কলমে কিছু না লিখলেও মৌলিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করতেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি কোনো দলের মত বা প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে না, যত ছোট দলই হোক না কেন। ন্যায্য দাবি হলে সেটাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে। বিএনপি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক দল—শুধু মুখে নয়, আচরণেও।
প্রসঙ্গত, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০১ বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি হাওয়া ভবন কেলেংকারী দেশী বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে । ২১ শে আগষ্ট তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন মানুষ কে হত্যা করা হয়।
২০০৫ সালে ১৭ ই আগস্ট ৬৩ জেলায় এক যোগে সারাদেশে বোমা হামলা চালানো হয়। শাহ এ এমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জরুল ইমাম, মমতাজ হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো।