যশোর: ২০০১ -০৬ মেয়াদে বিএনপি, জামাতসহ চারদলীয় জোটের শাসনামল হচ্ছে বাংলাদেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নির্যাতন , লুটপাট, দুর্নীতি , অনিয়ম , নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা এবং জঙ্গি উত্থানের সুবর্ণ সময়।

বিএনপি এমন একটা দল, যার জন্মই সেনা শাসনের কোলে। যার হাত রক্তে রঞ্জিত—৮৬, ৯৬, ২০০১ সালের সন্ত্রাসের সাক্ষী বাংলাদেশ।

যাদের শাসন মানেই ছিল হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, জঙ্গি আশ্রয়, আর জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি।

সেই বিএনপি এক পথেই আছে। আজ বিএনপি ক্ষমতা চায়। ক্ষমতা চেয়েও নিজেদের অত্যাচার বজায় রেখেছে।

সুব্রত দেব নাথের ওপর ঘটে গিয়েছে নৃশংস ও বর্বর হামলা।বিএনপি-যুবদল আবারও প্রমাণ করল তারা সন্ত্রাসী দল!

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ কর্মী সুব্রত দেব নাথের উপর যুবদল-সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি!

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৬নং মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের বাকোশপোল গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী সুব্রত দেব নাথের বাড়িতে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে যুবদল নেতা রহিমের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

তারা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং নগদ ৪০,০০০ টাকা এবং একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বিএনপি-যুবদল।

বিএনপি মানেই সন্ত্রাসবাদ। বিএনপি শুধু সাবেক সেনাপ্রধান না, বিএনপি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেও দৌঁড়ানো দিয়ে লাঞ্ছিত করেছিলো।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নিজেরাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিলো জনাব ডঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে।

এবং রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন উনার সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মতপার্থক্য হয়।

বিশেষ করে উনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে এবং জিয়াউর রহসানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে না মানায় বিএনপির সাথে তাঁর বিশাল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিলো।

এর ফলে ২০০২ সালের ২১ জুন জনাব বি চৌধুরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হোন। এবং বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল যা করেছে তা হলো, একজন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতিকে দৌঁড়ানো দেয় তৎকালীন মিডিয়ার সামনে। বিএনপির ধর্মই এটা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *