ঢাকা: শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন। বাংলাদেশে আনাগোনাও বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের।
কমিউনিস্ট দেশটিতে গিয়েছেন খালেদা জিয়ার দলের নেতারা। সেদেশে বিদেশমন্ত্রকে এক বৈঠকের পর বিএনপি তরফে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন চায় চিন।
সোমবার (২৩ জুন) চিনের পিপলস গ্রেট হলে সিপিসি (কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।
বৈঠক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চিন সফর করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে দেখা গিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চিন কার্যত নিশ্চুপ।
অথচ নীরব থেকেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মাথা গলাচ্ছে বেজিং।
২৩ জুন ২০২৫, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান সিপিসির পলিটব্যুরো সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ডেপুটি চেয়ারম্যান লি হংঝং।
উল্লেখযোগ্য যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি’র উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করছেন।
বিএনপি’র প্রতিনিধি দলে আরও আছেন- জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, ঈসমাইল জবিউল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।