ঢাকা: উপদেষ্টারা সবেতেই আওয়ামী লীগের ভূত দেখেন। সত্য, ন্যায়ের পথে আন্দোলনকে তাঁরা মনে করে ষড়যন্ত্র।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের সংস্কার প্রক্রিয়াকে তারা ষড়যন্ত্র বলছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ ‘বাধাগ্রস্ত’ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার কিছু ‘সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের ইন্ধন’ থাকতে পারে বলে ধারণা তাঁর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এনবিআর কর্মকর্তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে একটা নেতিবাচক ধারণা আছে। ওদের ক্যারিয়ারের কোনো অসুবিধা হবে না।

বরং এনবিআর একটা স্বতন্ত্র বিভাগ হবে। ওদের মর্যাদা বাড়বে। ওদের ক্যারিয়ারটা আরও সমৃদ্ধ হবে। ওদের পদোন্নতিটা আরও ভালো হবে। এখন তাদের কারা কী বুঝিয়েছে; ভেতরের ব্যাপারস্যাপার আপনারা আরও ভালো বলতে পারবেন।

“ওরা যেটা করেছে, যে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, এটা কোনো সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে এনবিআরের কেউ কোনো দিন করেনি।

এটা আপনার আমার ব্যাপার না। পুরা দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, রাজস্বের ব্যাপার।

বন্দর, স্থলবন্দর, আমদানি-রপ্তানির ব্যাপার। আমি বলেছি, এমন কোনো সমস্যা নেই যেটা আলোচনা করে সমাধান করা যাবে না।”

অর্থ উপদেষ্টার আহ্বানে মোটেও সাড়া দিলেন না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নতুন কর্মসূচি দিয়েছে। ২৮ জুন এনবিআর অভিমুখে ‘মার্চ টু এনবিআর’ পালিত হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *