ঢাকা: বাংলাদেশটাকে ধ্বংসের দোড়গোড়ায় নিয়ে গিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

বিএনপি জামাত, ইসলামী জঙ্গি’রা মিলে,
২৪৩ থানায় অগ্নি সংযোগ, পুলিশ হত্যা,
করে প্রায় ৮ হাজার অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে।

বিএনপি জামাত জঙ্গিরা বিপ্লবের নামে দেশের সর্বনাশ করে দিয়েছে।

৩/৪ হাজার যে পুলিশ হত‍্যা হয়েছে তার কি দিবস হবেনা এই বাংলায়?

বাংলাদেশে পুলিশ এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই ১০/১১ মাসে কতটুকু সক্রিয় তারা হতে পেরেছে।

এবার তো গুটি কয়েক ছাত্র -জনতা নামধারী জুলাইর চুক্তি যোদ্ধারা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে তালা লাগিয়ে দিল। কত সাহস!

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে লাল বিপ্লবীরা তালা লাগিয়ে দিয়েছে এবং আনন্দ উল্লাস করছে।

সন্ত্রাসীরা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা কে যেভাবে অপমান অপদস্থ করেছে পুলিশের উপস্থিতিতে তাতে কী প্রমাণ হয়?

সংস্কারের লোভ দেখিয়ে গদিতে বসেছেন ইউনূস! কী সংস্কার করেছেন তিনি?

৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে অপরাধ গুণলে শেষ হবে না।

আইন‑শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা এখনো ভঙ্গুর। আর এই প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতার সুযোগে মব ভায়োলেন্স বা সহিংসতা বাড়ছে।

জনগণ আস্থা কীভাবে করবে, যেখানে পুলিশ নিজেই নিরাপদ নয়!

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোমেট এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।ডিপ্লোমেটে প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখক সাকলাইন রিজভী কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন।

তিনি লিখছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নৌ‑পুলিশ থেকে সাম্প্রতিক বদলি হওয়া উপপরিদর্শক ইউসুফ আলী লক্ষ্য করলেন, কিছু যুবক গাঁজা সেবন করছে, যা বাংলাদেশে অবৈধ।

ইউসুফ তাদের সতর্ক করে ক্ষমা চাইলে ছেড়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ওই যুবকেরা আরও লোকজন নিয়ে ফিরে আসে।

তারা ইউসুফের কলার ধরে টেনে তার ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলে, বেঁধে ফেলে এবং নির্মমভাবে পেটায়।

এ নিয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ইউসুফকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা যায়, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। অথচ উত্তেজিত জনতা তাঁকে ‘নকল পুলিশ’ বলে আখ্যা দিয়ে পিটিয়েছে।

শেখ হাসিনার পতনের পর দশ মাস পরও পুলিশ সদস্যরা এখনও চরম ঝুঁকিতে পড়ে আছেন।

পুলিশকে ‘গণহত্যার অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে জনতা থানায় হামলা চালিয়েছে, এবং পুলিশ বাহিনী তাদের নিরাপত্তার জন্য ধর্মঘট করে।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামতে হয়।

পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সেই দেশ কী প্রমাণ করে?

হাজার হাজার পুলিশ হত্যা, প্রায় ৫৫০০ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী হত্যা!৫০০বেশি পুলিশের গাড়ি পুড়ানো, ২৬ লক্ষ বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,শিল্পকারখানা, গণভবন, সংসদ ভবন,৪০০থানায় হামলা অস্ত্র জরুরী কাগজপত্র লুটপাট!

এগুলো এই বাংলাতেই হয়েছে! এটা নতুন বাংলাদেশের নমুনা?

২০২৪ সালের জুলাই— সেটি কোনো কোটা আন্দোলন ছিল না। সেটি ছিল ঠাণ্ডা মাথায় সাজানো একটা নীলনকশা—যেখানে নিশানা ছিল একটি মাত্র বাহিনী, সেটা বাংলাদেশ পুলিশ।

মনে আছে নিশ্চয়ই কি যাত্রাবাড়ির সেই নির্মমতার কথা?

লাশ ঝুলছিল ফ্লাইওভারে—ঝুলন্ত মৃতদেহে পচন ধরেছিল, আর সন্ত্রাসীরা সেই লাশ পর্যন্ত নামাতে দেয়নি।

শুধু পুলিশ নয়, পুলিশ আত্মীয় হওয়াটাও ছিল অন্যায়!

এনায়েতপুরে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ৪৪ জন শহীদ।
কিন্তু সত্যি কি তাই?

অন্তবর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালন করবে বলে ঘোষণা করেছে।

নতুন বাংলাদেশ কোনটা? একাত্তরের পক্ষের শক্তি শুধু একটাই বাংলাদেশ জানে।

কোন যুক্তিতে ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ স্বীকৃতি পেল?

বাংলাদেশ একটি, এর আগে নতুন- পুরাতন যোগ করার সুযোগ নেই। যা সংবিধানের ১ ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত হইবে।

ইউনূস এসে যা ইচ্ছে তাই করছে এবং সেটা মেনেও নেয়া হচ্ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *