ঢাকা: সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দিলে বাংলাদেশের আর অস্তিত্ব থাকে না।
আসলে জাতির ইতিহাস অস্বীকার করে শুধুমাত্র একটি ঘটনার উপর সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন হঠকারীতা ছাড়া আর কিছু নয়।
সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের নতুন প্রস্তাব এবং সাংবিধানিক কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে নতুন কাঠামোতেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।
বিদ্যমান চার মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র নিয়ে তেমন বিরোধ না থাকলেও অপর দুটি সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে ডান ও বাম দলগুলোর।
ডান দলগুলোর যুক্তি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে সংবিধানে এ দুটি মূলনীতি থাকতে পারে না। অথবা শব্দগত পরিবর্তন করতে হবে।
বাম দলগুলোর অভিমত- এই চার মূলনীতির সঙ্গে প্রয়োজনে নতুন কিছু সংযুক্ত করতে তাদের আপত্তি নেই। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে জড়িত ৭২-এর সংবিধানে হাত দেওয়ার সুযোগ নেই।
বুধবার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই সংলাপ চলে।
কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনায় বিষয় ছিল তিনটি। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, সাংবিধানিক কাউন্সিল এবং প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ।
তবে এদিনও কোনো সমাধান আসেনি।
কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ
আলোচনা শেষে বলেন,
“বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বশেষ বলা হয়েছে, সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য যদি কোনো ধরনের কমিশন বা কমিটি তৈরি করা হয়, তাহলে তারা প্রধানমন্ত্রী থাকার সর্বোচ্চ সময় ১০ বছর করার প্রস্তাব আবার বিবেচনা করবে।
“এই আলোচনায় আমরা কোনোরকম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটির বিষয়ে যতক্ষণ না চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার সীমা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।”