ঢাকা: গত দশমাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করে ফেলেছে একদল গদি দখলকারী।
পুরো বাংলাদেশ এখন স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি বনাম বিপক্ষ শক্তি।
বাংলাদেশের জিএম ৪০৩ এম রাডার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চীনের তৈরি এফএম -৯০ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা এগুলো সব শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেনা।
বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ এই বাংলাদেশকে শত বছর পেছনে ফেলে দিয়েছে ক্ষমতালোভী ইউনূস ।
আমেরিকার ইশারায় পাকিস্তানি আইএসআই এর পরিকল্পনায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বে একটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বাংলাদেশকে যুদ্ধের ময়দান বানাতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবারো দুর্নীতির নরকে পড়েছে। বিএনপি-জামাত-ইউনুস চক্রের ছায়ায় ফিরে যাচ্ছে ২০০১ সালের অন্ধকারে।
এদিকে চিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিএনপি।
চীন সফরের মধ্য দিয়ে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চীন সফর শেষে শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, আমাদের এই সফরটা ছিল রাজনৈতিক। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।
আমাদের এই সফরটা সফল হয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ মিটিং হয়েছে। পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক আরও নিবিড়-শক্তিশালী হয়েছে।
‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তারা দাওয়াত করেছেন এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা খুশি হয়েছেন যে তিনি এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরাও তাদের দাওয়াত করেছি.. তারা তা গ্রহণ করেছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়েছি যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং -এর নেতৃত্বে কয়েক বছরের মধ্যে চীন একটা উঁচু পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ।
তার সমস্ত অনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের জন্য নয়, সমস্ত বিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ছিলেন।