ঢাকা: বাংলাদেশে অনেক পরিবারেই সদস্যের নাম হাসিনা আছে, বা ওয়াজেদ, বা মুজিবুর রহমান আছে।

এখন দেশের যা পরিস্থিতি তাতে তো মনে হচ্ছে যাদের নাম শেখ হাসিনা, বা বঙ্গবন্ধুর সাথে মিলে যায় তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং এফিডেভিটের মাধ্যমে নাম পাল্টে দেয়া হবে।

শেখ পরিবারের নামে যেসব স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলোর নাম তো পাল্টানো হয়েছেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এবার ব্যক্তিরাও রাজনৈতিক হিংসার বলি হবেন দেখা যাচ্ছে।

এক স্কুলের নাম নিয়ে এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মা বাবার নামে স্কুলের নাম, অথচ সেটা মিলছে হাসিনা ওয়াজেদের সাথে, ফলে সেই নাম পাল্টে দেয়া হয়েছে।

এখন মা বাবার নাম কেন এমন হলো সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন সন্তানদের কাছে। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না এখানে অন্যায় কোথায়?

অথচ ইউনূসের কাছে শেখ নামেই অন্যায়!

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থা।

নাম পাল্টানোর খেলা চলছে।

ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘পাঁচবাড়ীয়া হাছিনা ওয়াজেদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির নাম দুইবার বদলানো হয়েছে।

তবে এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

সম্পর্ক না থাকলেও নামের সাথে তো মিলে, তাই ইউনূসের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে।

বিদ্যালয়টি সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবর রহমান তাঁর মা হাছিনা বেগম ও বাবা ওয়াজেদ আলীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন।

পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম হয়েছে পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জুলাই ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়, যেগুলোর নাম শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলে যায়।

২৬ জুন প্রকাশিত তালিকার ৬০৩ নম্বরে বিদ্যালয়টির নাম দেখা যায় — নতুন নাম: পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও এলাকাবাসীর। নাটক শুরু হয়েছে দেশে।

আগের হাছিনা ওয়াজেদ নামটি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ।

প্রসঙ্গত, একদম প্রথম নাম ছিলো ‘হাছিনা’। হাছিনা থেকে ‘হাসিনা’ হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলে সরকারিভাবে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়: পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *