ঢাকা: বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা এবং ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বুলডোজার দিয়ে সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমাসহ মন্দির ভাংচুর এবং ধর্মীয় অবমাননার অজুহাত দিয়ে লালমনিরহাটে একটি পরিবার বাবা পরেশ চন্দ্র শীল (৬৯) এবং ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলকে (৩৫) মারধর করে পুলিশে সোপার্দ করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ঢাকার প্রেস ক্লাবের সামনে এবং সারাদেশব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করা হয়।

ঢাকার প্রেস ক্লাবের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, অন্যতম প্রেসিডয়াম সদস্য এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, মিলন কান্তি দত্ত, জয়ন্ত সেন দিপু, দীপেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র নাথ বসু, আইন সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য, সদস্য চন্দ্রনাথ পোদ্দার, আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. অনুপ কুমার সাহা, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জোটের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ হালদার, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ড. এম কে রায়, ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অতুল চন্দ্র মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক হৃদয় চন্দ্র গুপ্ত, শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব প্রশান্ত বিশ্বাস, হিন্দু ছাত্র মাহজোটের সাধারণ সম্পাদক জয় রাজবংশী, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সহ-সহাপতি নিউটন অধিকারী, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সজীব সরকার ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিপংকর চন্দ্র শীল, খিলক্ষেত সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের পূজারী সবিতা রানী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।

আজ দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সাম্প্রদায়িক অপশক্তি একত্রিত হয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর ভর করে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, বাড়িঘর লুটপাট, উপাসালয় ভাংচুর, ধর্ম অবমাননার কথিত অজুহাতে নির্যাতন এবং বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে সারাদেশব্যাপী সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা এবং হয়রানী চলমান রয়েছে।

যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক শক্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন ও মিছিল থেকে শীঘ্রই খিলক্ষেতে মন্দির পুনঃনির্মাণ, একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং লালমনিরহাটে বিনাদোষে আটককৃত বাবা পরেশ চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলসহ অন্যান্যদের মুক্তিসহ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতন বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *