চট্টগ্রাম: মুহাম্মদ ইউনূসের একনায়কতন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিনা অপরাধে ধরে ধরে কারাগারে বন্দী করা হচ্ছে।
সারা দেশের কারাগার ভর্তি। কোথায় আওয়ামী লীগের সময় তো কারাগার ভর্তি হয়নি এভাবে? এখন কেন? ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তারি চলছেই।
চট্টগ্রাম কারাগারে ধারন ক্ষমতার ৩ গুণের বেশি বন্দী। নতুন কারাগার করতে জায়গা নেই। বন্দীরা গাদাগাদি করে থাকছে।
আর কত গ্রেফতার? গ্রেপ্তার করে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখা যায়?
এমনকি কারা ও পুলিশ হেফাজতে ২৬ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে।
সারা দেশে কারাগার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
গত এক বছরে অন্তত ২৬ জন নেতাকর্মী কারাগারে, পুলিশি হেফাজতে, অভিযানকালে প্রাণ হারিয়েছেন।
১৫ জুন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ফরজাদ হোসেন সজিব।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। কারাগার নির্মাণের জন্য নাকি জমি পাওয়া যাচ্ছে না।
কারা সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে নতুন কারাগারের জন্য জমি নির্বাচন করা হলেও দখলে থাকায় সেটি অধিগ্রহণ করা যায়নি। এখন নতুন জমি খোঁজা হচ্ছে।
কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে তিন গুণের বেশি বন্দী রয়েছেন। বারবার অনুরোধ করেও নতুন কারাগারের জন্য জমি পাচ্ছি না।
নতুন কারাগার হলে সেটিকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলা যাবে, যেখানে বন্দীদের জন্য প্রশিক্ষণ, মৎস্য ও পোশাকশিল্পের শ্রমিক হিসেবে তৈরি করার ব্যবস্থা থাকবে।’
চলতি বছরের মার্চে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানায়, জঙ্গল সলিমপুরের জমিগুলো দখলে আছে। উদ্ধার না হওয়ায় তা কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আলাউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি জমি দখল করে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। উচ্ছেদে গেলে আমাদের ফিরে আসতে হয়।’
১ হাজার ৮৫৩ বন্দীর জায়গা যেখানে বরাদ্দ সেখানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে প্রতিদিন ৬ হাজার বন্দী থাকেন।
তবে প্রশাসন যে জানালো জমি নেই, তাহলে তারা জমি বেদখলমুক্ত করতে পারছে না কেন?
অথচ দেখা যায়, সামান্য একটা টিনের চালার মন্দির উচ্ছেদে বুলডোজার নিয়ে রাষ্ট্র ছুটে যায়, গুঁড়িয়ে ফেলা হয় মন্দির। তখন তো এমন অজুহাত শোনা যায় না।
দেশ টা কোথায় যাচ্ছে দিন দিন এত নোংরামি হচ্ছে। ধর্ষণকারীরা তো গ্রেপ্তার হয় না! তাহলে কারাগার এত ভর্তি কেন? ইউনূসের অবিচারে?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে যা শুরু করেছে, যে অবিচার করছে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে জনগণ।