কুমিল্লা: একাত্তরে কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।

এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।

হিন্দু নারীদের বিশেষ করে টার্গেট করে করে ধর্ষণ চালানো হয়েছে। সেই একাত্তরের নির্মমতার সাথে ২৫ এর নির্মমমতার কোনো তফাত আছে?

ঘটনায় পুলিশের বিবৃতি:

হিন্দু নারীর ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। মুখে তালা দিয়ে বসে আছেন ইউনূস। কেউ কেউ আবার এই ঘটনাকে পরকীয়া বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

একজন সনাতনী হিন্দু নারীকে নিজের ঘরে ঢুকে বেড়া ভেঙে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ, নগ্ন করা, চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়েছে।

এই কি আমাদের বাংলাদেশ? এই কি সেই সমাজ যেখানে নারী ও ধর্মের নামে নিরাপত্তার কথা বলা হয়?

শুধুমাত্র সনাতনী পরিচয়ের কারণেই দেশে এত সহজ টার্গেট হয়ে যাচ্ছে ওরা।

প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘটে যাচ্ছে এ ধরনের বর্বর ঘটনা।

কিন্তু প্রতিবাদ করলে তখনই হিন্দুদের মুখে “গুজব”, “উসকানি”, “সম্প্রীতি নষ্ট” — এই সব ট্যাগ বসিয়ে দেওয়া হয়।

এই যে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হলো, এটা আই ওয়াশ ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

এই ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আজ ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে।

তাঁরা মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক।

১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) সে বিএনপির নেতা, তাঁর বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে।

ভুক্তভোগী দরজা খোলেন না। দরজা না খোলায়, ধর্ষক ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *