কুমিল্লা: গোটা বাংলাদেশ বিবস্ত্র! কুমিল্লার ঘটনা শুধু কুমিল্লার না, ভুক্তভোগী মহিলা শুধু ভুক্তভোগী না, সারা বাংলাদেশ ভুক্তভোগী। এবং এই ঘটনা প্রতিদিন বাড়ছে, নারী হত্যা, নারী ধর্ষণ এগুলো খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।
সহজ হয়েছে এই কারণেই যে দোষীর বিরুদ্ধে শাস্তি নেই। ফলে কয়েকদিন হাজতে কাটিয়ে অথবা না কাটিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় ধর্ষক। এবং পরবর্তী আরো এজনকে শিকার করে।
একাত্তরে ঠিক এইভাবেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মা বোনেরা। সেই রাজাকারের দল আজো ঘাঁটি গেড়ে আছে এই বাংলায়।
বাংলাদেশ এখন রাজাকারের দেশ। এখানে রাজাকাররা ই বুক ফুলিয়ে হাঁটে, মুক্তিযোদ্ধার কপালে জোটে জুতার মালা।
মুরাদনগরের এক হিন্দু নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন—এটা শুধু তার প্রতি নয়, আমাদের পুরো সমাজের বিবেকের উপর আঘাত।
আর সেই পাশবিক ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে! এটা কেবল অপরাধ নয়, এটা ঘৃণ্যতার চরম বহিঃপ্রকাশ।
‘ধর্ষণের শিকার’ হিন্দু নারী অভিযোগ করেছেন, ফজর আলী রাতের বেলায় দরজা ভেঙে তাকে ‘যৌন নির্যাতন’ করেছেন। এর কিছু পরেই তার ভাই এসে তাদের মারধর ও ভিডিও করেন।
‘ধর্ষণ’ ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও মারধরের ঘটনার বিচার চেয়েছেন ওই নারী।
দরজা ভেঙে মহিলাকে ধর্ষণ করে বিএনপি নেতা ফজর আলি।
ভুক্তভোগী বলেন,
“এর মধ্যেই সাত-আটজন লোক আমার ঘরে ঢুকে ফজর আলীকেও মারছে, আমাকেও মারছে। তার ছোট ভাই শাহ পরানই ইন্ধন দিয়েছে। পরদিন (শুক্রবার) আমি থানায় একটা মামলা করেছি।”
ঘটনায় আই ওয়াশের খাতিরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ধর্ষককে।
গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা।
আরও নানাভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা। এ নিয়ে ভারতের তরফে একাধিকবার প্রতিবাদ করা হয়েছে।