মিরপুর: মিরপুর ১০ এর ফুটপাথ সিন্ডিকেট চলছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো পদক্ষেপ নেই।
মিরপুর সহ পুরো ঢাকার ভয়াবহ জ্যামের অন্যতম কারণ এই অর্ধেকের বেশি রাস্তা দখল করে রাখা ফুটপাথ।
পরিবেশ দূষণ, মেট্রোরেল সহ সমগ্র এলাকাকে দৃষ্টিকটু, নোংরা এবং দুর্গন্ধময় করে রেখেছে।
যাত্রীরা বলছেন, বিশেষ করে মেট্রোরেল থেকে উঠা নামার পরিবেশ খুবই বেদনাদায়ক।
এদিকে, বিএনপি সেই পুরানো রূপে ফিরে যাচ্ছে, সে পুরানো রূপ হচ্ছে চাঁদাবাজি,খুন আর ধর্ষণ।
মিরপুর ১৩ নাম্বার থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্যস্ত সড়কের উভয়পাশের প্রায় ৫০-৭০% রাস্তা দখল করে স্ট্রীট শপ পরিচালনা করা হচ্ছে, যার ফলে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাফিক। রাস্তা দখল করে এভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত করছেন কারা? নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এদের নিবৃত্ত করে না।
ফুটপাথে ব্যবসার পিছনে প্রভাবশালীদের হাত আছে।
দিন হিসেবে বা মাস ‘ভাড়া’ দিয়ে দোকানিরা ফুটপাতে দোকান চালান। টাকার বিনিময়ে তাদের ‘শেল্টার’ দেন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজন।
জানলে অবাক হবেন, মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনের নিচের ফুটপাতে গড়ে ওঠা ‘অস্থায়ী মার্কেট’ থেকে বছরে কোটি টাকার বেশি চাঁদা ওঠে।
নিশ্চিন্তে চলছে এইসব ধান্দা। পথচারীরা যতই কষ্টে থাকুক।
চলছে নৈরাজ্য। পুরো রাস্তার পাশ, ফুটপাথ দখল করে চলছে ব্যবসা। দুপুরের পর হাটার অবস্থা নেই। দৈনিক চাঁদাও বেড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। যানযটে নাজেহাল। চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে মানুষকে।
ফুটপাথ দখল করে রাখার জন্য হাঁটার জায়গা নেই, এগুলো নজরে পড়ে না প্রশাসনের বা ইউনূসের।
মেট্রো উঠানামার পথে ২ হাত জায়গা নাই হাঁটার, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চলছে, কমিশন চলছে।
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনের নিচে সড়কের দুই পাশে দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। এসব দোকানের জন্য গড়ে ২০০ টাকা করে ‘ভাড়া’স্বরূপ চাঁদা দিতে হয়।
সে হিসেবে প্রতিদিন মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনের নিচের ফুটপাত থেকেই ওঠে প্রায় ৪০ হাজার টাকা, মাসে যা ১২ লাখ টাকার বেশি।