মানিকগঞ্জ: মাদক বিরোধী কথা বলা যাবে না, হিন্দুর স্বপক্ষে কথা‌ বলা যাবে না, নারীর স্বপক্ষে , নারী স্বাধীনতার কথা বলা যাবে না। মবতন্ত্রের বাংলাদেশে এগুলো বলা হারাম।

বলতে হবে হিন্দু বিরোধী কথা, সমাজবিরোধী কথা। তাহলে আর কেউ শাস্তি পাবে না।

এক একটা ওয়াজে হিন্দু বিরোধী, ভারত বিরোধী, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে অশ্লীল কথা আলোচনা হয়। তখন কিন্তু কোনোরকম আপত্তি হয় না।

কিন্তু যেই না ইমাম একটু মাদক বিরোধী কথা বলেছেন, ওমনি তার উপর নেমে এলো খাঁড়ার ঘা।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এক মসজিদে জুমার খুতবায় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় এক ইমামকে মারধর করা হয়েছে।

মাদক বিরোধী কথা বলাই তো উচিৎ। কিন্তু সব উচিৎ এখন ইউনূসের আমলে অনুচিত হয়েছে।

ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মো. জুলহাস (২২) এবং রায়হান (১৯)।

মুফতি মিরাজুল ইসলাম একটু সমাজ সচেতন। তাই মাঝে মধ্যে জুমার খুতবায় মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে কথা বলতেন।

কিন্তু চোর তো ধর্মের কাহিনী শুনবে না। এখানে হিন্দু বিরোধী দুটো বয়ান দিলে ঠিক‌ গিলে খেতো জনগণ।

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চরম আকার নিয়েছে। প্রতিদিন ঘটনা ঘটছেই। অথচ এইসব কিছু হচ্ছে ইউনূসের উদ্যোগে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *