ঢাকা: বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য এই কার্যালয় চালু থাকবে।
এই নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। অনুমোদন বাতিল করার প্রসঙ্গ উঠছে।
জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনের অনুমোদন বাতিল করুন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, জাতীয় স্বার্থ ও ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে গতকাল সোমবার বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারের কার্যালয় স্থাপনের অনুমতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেন,
জাতিসংঘের এ পদক্ষেপ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর অনুমোদন দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বকীয়তা ও ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার বিষয়।
এধরনের তথাকথিত ‘মানবাধিকার কার্যালয়’ দেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করবে।
তবে মামুনুল হকের ইতিহাস সারা বাংলাদেশ জানে। তাঁর কথাবার্তা যে ষড়যন্ত্রমূলক এটা জানার বাকি নেই।
এর আগে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশকে জাতিসংঘের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন।
তবে সেসব দিন শেষ। এখন ইউনূসের যুগ। মবের যুগ।