ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর দমন- পীড়ন নীতি অব্যাহত রেখেছে ইউনূস সরকার।
কোন সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সংগঠন বা ব্যক্তি যদি তাদের অধিকারের কথা বলে বা সোচ্চার হয় তাহলে সেটিকেই ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তাঁদের বানিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর অর্থাৎ তাঁদেরকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তেমনটাই ঘটছে এবারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর) এর কর্মকর্তা- কর্মচারিদের আন্দোলনে।
তারই অংশ হিসেবে প্রথম কোরবানী হলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো: জাকির হোসেন।
ফুলস্টপ দিয়ে তো সাংবাদিকদের মুখ আগেই বন্ধ করা হয়েছে। কোনো মিডিয়ায় সঠিক সংবাদ প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইউনূসের দমন পীড়ন এভাবেই চলেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে চলা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সময় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বন্ধ রাখায় কমিশনারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভুয়া। প্রতিহিংসার রাজনীতি এগুলো।
বলা হয়েছে, তাঁকে আগামি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দাখিল করতে ।
উল্লেখযোগ্য যে, সাংবিধানিকভভাবে অবৈধ সরকার জোরপূর্বক রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করে একের পর এক কালাকানুন ও অবৈধ অধ্যাদেশ জারি করে চলেছে।
যাদের নিজেদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই এবং যারা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ তারা প্রণীত সকল আইন ও অধ্যাদেশ অবৈধ।
এ রকম একটি অবৈধ সরকার কোনো রকম মতামত গ্রহণ না করেই মধ্য রাতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করেছে। আবার ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধন) – ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে।
রাষ্ট্রকে এরা চরম হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।