বান্দরবান: বাংলাদেশের পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত, কিন্তু সেই সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়, নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতার এক নির্মম চিত্র। সম্প্রতি থানচিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের জল স্থলে আবালবৃদ্ধবনিতা কেউ নিরাপদ নয়।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিন, মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজের ব্যানারে প্রায় ঘন্টাখানেক এই মানববন্ধন হলো।

মানববন্ধনে হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির সহসভাপতি কবিতা চাকমা বলেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার একটিরও সঠিক বিচার এখনি হয়নি। এই ঘটনাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ করে। পাহাড়ের নারীরা নিজ ভূমিতে এবং নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নয়। ধর্ষণের ভয়ে পাহাড়ি নারীদের প্রতিনিয়ত দিন পার করতে হয়।”

সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেছেন, “আমাদের পাহাড়ি নারীরা ঘরে-বাহিরে, জুমে-জমিতে গিয়েও কাজ করে। তারা কাজের জায়গায় গিয়েও যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তারা কোথায় যাবে?”

এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত কয়েক বছরে পার্বত্য অঞ্চলে নারী ও কিশোরীদের ওপর বারবার চালানো হয়েছে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধ। অনেক সময় তা হয়েছে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায়, কখনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগ। কিন্তু বিচার?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *