ঢাকা: দখলদার ইউনূসের ১১ মাসে বিভিন্ন সংকট অনিশ্চয়তা তৈরি করেছেন দেশে।
গ্যাস সংকট থেকে শুরু করে, সুদের উচ্চ হার, ডলারের দামে অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায় ভাটার সম্মুখীন উদ্যোক্তারা।
এর মধ্যেই চলছে জোরজবরদস্তি পদত্যাগ করানোর খেলা।
বুধবার পর্যন্ত এনবিআর এর ৪ কর্মকর্তাকে কোরবানী দিলো ইউনুস সরকার। ভিন্নমতের কোন কিছুই আর রাখবেনা তারা সেটাই বুঝাচ্ছে।
‘দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি। সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি’?
সত্যকে কয়দিন পদত্যাগ করিয়ে, আগুন করিয়ে চাপা দিয়ে রাখবেন? সত্য কথা বলবেই।
এবার জোরজবরদস্তি পদত্যাগ করানো হলো ৪ কর্মকর্তাকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনের সঙ্গে থাকা চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে এই দখলদার সরকার।
তাঁরা হলেন- এনবিআরের সদস্য (শুল্ক নীতি) হোসেন আহমদ, সদস্য (আয়কর) মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. আব্দুর রউফ ও কর কমশিনার (আয়কর) মো. শব্বির আহমদ।
কথা বলা যাবে না, আর যদি দেখা যায় কোনো প্রতিবাদ ইউনূসের বিপক্ষে গিয়েছে তাকেই সরিয়ে দেয়া হবে।
প্রজ্ঞাপনে যা লিখেছেন, তাতে এটাই পরিষ্কার হলো অন্তর্বর্তী সরকারের যখন যাকে ইচ্ছা হবে তাকেই পদত্যাগ করাবে।
প্রজ্ঞাপনে সরকার ‘জনস্বার্থে’ তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মনে করায় অবসর দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তুলে ধরা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক কমিশনারকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, নীতির অস্পষ্টতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু এইসব দিকে নজর নেই ইউনূসের, তিনি দেখবেন সেইদিকে যেদিকে তাঁর মনে হয় কুরসিতে টান পড়ছে।
স্বৈরাচারী আসলে কে তা ১১ মাসে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন।
গণতন্ত্রকে হত্যা করে, জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ইউনূস ক্ষমতার মঞ্চে বসেছে।
সংবিধানকে অকার্যকর করে, আইনকে বাঁকে ফেলে ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে স্বৈরাচারের সূচনা।