চট্টগ্রাম: পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম, নিকৃষ্ট ও পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

সেদিন রাষ্ট্র চুপ থেকে শুধু পুলিশকেই মেরুদন্ডহীন করা হয়নি, মেরুদন্ড ভেঙ্গে গিয়েছে রাষ্ট্রেরও।

সেই পুলিশ, থানার উপর প্রতিহিংসা ফের দেখানো হলো। ওসিকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে দেয়া হলো তথাকথিত জঙ্গীদের আবদারে।

অথচ, পুলিশের রক্ত চেয়ে যে জঙ্গীরা খোলাখুলি ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে তাঁদের প্রতি সরকারের আছে ভীষণ সহানুভূতি।

তাহলে স্বৈরাচারী কে? জঙ্গীদের কথায় গ্রেপ্তার করতে না চাইলেই বানিয়ে দেয়া হচ্ছে স্বৈরাচারী, আওয়ামী লীগের দোসর!

ছাত্রলীগের দীপঙ্কর কে মেরে থানায় নেয়ার পর, মামলা বা অভিযোগ না থাকায় দীপঙ্করকে আটক করতে পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বীকার করে, এমনকি তাঁর নিজ থানা রাঙ্গামাটিতেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মামলা নেই।

তাহলে কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে?

এ কথা শোনার সাথে সাথে উপস্থিত সমন্বয়কেরা থানায় কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে ওসির নির্দেশে থানার নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে লাঠিপেটা করে। তাই ওসি এখন হয়ে গেল হাসিনার দোসর।

পটিয়া থানার ওসিকে দখলদার সরকার প্রত্যাহার করেছে।

মামলা না থাকলেও গ্রেফতার করতে হবে এটি পুরোপুরি মগের মুল্লুকের মতো।

কি ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। সমন্বয়করা যে জঙ্গী তা আগেও প্রমাণ হয়েছে এখনো।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুরকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) টানা চাপ ও ৯ ঘণ্টার সড়ক অবরোধের পর বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

হুলুস্থুল পরিবেশ। একদম জুলাই। পাকিস্তানের দালালেরা দেশজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

এর আগে, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সকল কনস্টেবলের “রক্ত দেখার” হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ইরফান বিন সোলায়মান নামের এক যুবক। নিজেকে জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)-এর সদস্য দাবি করে দেওয়া এই পোস্ট।

লেখা হয়, “কাল সকালে পটিয়া থানা ওসি থেকে শুরু করে কনস্টেবল সকলের গায়ের রক্ত দেখতে চাই। শুয়োরদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”

তবে এসবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। কারণ ইউনূস তো জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের দাঁড়াই চলছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *