ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূস পশ্চিমাদের কাছে ভালো এবং পশ্চিমারা ইউনূসের কাছে ভালো। কারণ স্বার্থ।
ইউনূস নিজের অভিসন্ধি পুরা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাই।
তবে ইউনূস কোনো রাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের বাহক নন, বরং নিজের ক্ষমতালিপ্সু অভিসন্ধির ক্রীড়নক মাত্র।
ড. ইউনূস আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের প্রত্যক্ষ সমর্থনে।
তিনি দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন।বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তবে একটি বিষয় হচ্ছে ইউনূস দেশে যা করছেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটিয়েছেন যাদেরকে আমেরিকা নিজের বৈশ্বিক শত্রু বলে বিবেচনা করে।
নিজের স্বার্থে কেবল জোটবদ্ধতা তাদের। করিডোর ইস্যুতে বিপজ্জনক সংযোগ হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর আছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ইউনূসের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রায় মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের পরিকল্পনায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
গণতান্ত্রিক উত্তরণ বাংলাদেশে কোথায় দেখা যাচ্ছে? দূরবীন দিয়ে খুঁজলেও তো নেই, সেই জায়গায় আমেরিকা দেখে নিলো উত্তরণ! হাস্যকর।
বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে তিনি বলেছেন, “গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে জনপ্রিয় অভ্যুত্থানের বার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে আছি।
এখন আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে কার্যক্রম দেখছি, সেটার ভিত্তি রচিত হয়েছিল সেই সাহস, অঙ্গীকার এবং ত্যাগের পথ ধরেই।
“গত বছর যারা জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের ত্যাগকে সম্মান জানাই।
সংস্কারের ক্ষেত্রে ঐকমত্য তৈরিতে এবং আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, আমরা সেটাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই।”
এদিকে, গত ৩০শে জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে একটি পোস্টার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান ইউনূস সরকারের অধীনে সংঘটিত ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সে জায়গায় নিজেদের স্বার্থে আমেরিকা কাছে তুলুতুলু ইউনূস।