ঢাকা: পুরুষতান্ত্রিকতা এবং রং বদলানোতে পারদর্শী উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। অন্তর্বর্তী সরকার যেখানে নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতনে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে করাচ্ছে সেখানে এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুরশিদ।
কারণ তিনি নিজেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে বসে আছেন।
কি সুন্দর কথা নারী উপদেষ্টার!
সারাদেশে নির্বিচারে নারী ধর্ষণ, শিশু কিশোরী ধর্ষণ নির্যাতন হচ্ছে। কিন্তু উনি বোধ হয় এসবের কিছুই জানেন না, ভাবখানা এমনই ওনার।
মুরাদনগরে হিন্দু নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও, ধর্ষণের ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানালো। কিন্তু এতদিন পর এসে আমাদের নারী উপদেষ্ঠার মুখনিঃসৃত বাণী(!) শোনার সৌভাগ্য হলো দেশবাসীর।
কি বলেছেন তিনি একটু পড়ুন-
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, নারী নির্যাতনকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি মুরাদনগরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ‘একটি ঘটনায় একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে গেল, তারপর ওই মেয়ের ওপর আবার দোষ চাপায় যে এই তুই কী কাজ করেছিল যে তোকে ধর্ষণ করল?’
তিনি বলেন, ‘আপনারা একবারও বললেন না যে ওই শয়তানরে ধরো, যে আল্লাহর নিয়ম ভঙ্গ করেছে, একটা মেয়ের দিকে তাকিয়েছে।
এটা তো কোরআন শরীফের নির্দেশ। কেন এ কথাগুলো আপনারা বলেন না। পত্রিকায় বড় বড় হেডলাইন করেন, মেয়েটার ছবি দিয়ে দেন এগুলোর বিরুদ্ধে কেন আপনারা কথা বলেন না।
মুরাদনগরের ঘটনা সব বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। গোটা দেশ আন্দোলিত এই ঘটনায়।
হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ঠিক যেভাবে ৭১ এ পাকিস্তানী সেনারা করতো। আজকের বাংলাদেশ সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এবং পৌঁছে দিয়েছেন স্বয়ং মুহাম্মদ ইউনূস।
অথচ এত ঘটনার পরেও তাদের মুখে কোনো কথা শোনা যায় না। যা শোনা তাও মেকি!