ঢাকা: এখন বাংলাদেশে এমন সময় এসেছে হয়তো জিগাসা করতে হবে ‘মনে আছে ৭ মার্চের কথা?’

কী বিভৎস সময় এলো। পরীক্ষায় ৭ মার্চের ভাষণ এটা ইউনূসের শাসনে অপরাধ, তাই কেনো এমন প্রশ্ন পরীক্ষায় আসলো তার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে!

৭ মার্চের ভাষণই মুক্তিযুদ্ধের সঞ্জীবনী শক্তি।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির নবঅভ্যুদয় ঘটে।

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দেন, সেদিনও তিনি ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি উচ্চারণের মাধ্যমে।

তখন তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে লাখো জনতা উচ্চারণ করে ‘জয় বাংলা’র বজ্রনিনাদ। এই স্লোগানের উচ্চারণের মাধ্যমেই স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এই জয় বাংলা ধ্বনিতে আত্মা কেঁপে ওঠে। কেঁপে উঠেছিলো পাকিস্তানি রক্ত। কিন্তু ইউনূসের আত্মা কাঁপে না!

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একাত্তর সালের সাত মার্চের সেই ভাষণ কী করে সহ্য হবে এই জঙ্গী ইউনুস সরকারের?

যে কিনা ‘ রিসেট বাটন’ টিপে জাতির সব ইতিহাস বিলোপ করার কথা বলেছেন। কিন্তু ইতিহাসতো ইতিহাসই।

তাই স্কুল শিক্ষক সরল মনেই বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে।

আর যায় কোথায়? এতবড় দুঃসাহস তাঁর হয় কোত্থেকে? তাই এ ব্যাপারে দোষী দেরকে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে রীতিমতো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৫ আগস্ট হয়েছেই এই কারণে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য।

লালমনিরহাটের ঘটনা এটি। আদিতমারীতে এসএসসি প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ থাকায় হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গেলো।

ভাষণটি মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হলেও, বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ যে বড় অন্যায় ইউনূসের আমলে।

১৯৭৫ সালে কিছু কুলাঙ্গার এই অবিসংবাদিত নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতিকে বিশ্বের কাছে কলংকিত করেছে।

সেই ঘাতকদের আজ পূজা করে ইউনূস ও তাঁর সহচরেরা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিধান কান্তি হালদার এবং কমিটির প্রধান হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন।

উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেখানে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অংশ তুলে ধরা হয়।

এটা বিশাল বড় অপরাধ হয়েছে ইউনূসের আমলে। কারণ এখন তো বঙ্গবন্ধু নামটাই উচ্চারণ করা অপরাধ গণ্য করা হয়।

বিধান কান্তি হালদার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রশ্নপত্রের বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটি পুরো বিষয় যাচাই করবে। তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন পাঠ্যসূচির অংশ হলেও এর প্রণয়ন, গ্রহণ ও বিতরণের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল কি না, সেটিও দেখা হচ্ছে।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *