ঢাকা: যে দল একটা দেশের ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে, সেই দল তো তার নিজের কর্মীদেরই সামলাতে পারে না। দেশ সামলাবে কী করে?

মদ, নারী ধর্ষণ, আরাম আয়েস, খুন এগুলোই তো বিএনপি, যুবদলের ধর্ম।

এবার তো দেখা গেলো, ভিআইপি কেবিন না পাওয়াতে যুবদল নেতার কর্মীরা যা ঘটালো, শেষে মেয়ে কর্মচারী/কাস্টমারদেরকে যেভাবে মলেস্ট করলো তা নিয়ে আশংকার উদ্বেগ ঘটাচ্ছে।

জামাত বিএনপির জঙ্গীপনায় দেশ তো শেষ। নারীরা একেবারেই নিরাপদ না জামাত বিএনপির কাছে।

যুবদল নেতা রাজধানীর মহাখালীতে জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে গিয়েছিলেন।

তিনি চেয়েছিলেন ভিআইপি রুম। কিন্তু রুম খালি ছিল না। তাই বার কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি।

ব্যস! রুম কেন পাবেন না? পরদিনই তিনি ২০-২৫ জন অনুসারী নিয়ে ‘মহান বিপ্লবী অভিযানে’ রওনা দেন। পুরো বার ভাঙচুর করেন।

শুধু তাই না, আরো ঘৃণ্য কাজ করেছেন তাঁরা।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ৮-১০ জন একটা নারীকে ঘিরে ধরে মলেস্ট করা হয়েছে।

নারীর শরীর ধরে যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

একের অধিক নারীকে যুবদল নেতার পক্ষে আসা সন্ত্রাসীরা মলেস্ট করেছে। তাদেরকে সম্মিলিতভাবে মলেস্ট করেছে।

বিএনপি আসলে সব এড়িয়ে যায়।

একটা হোটেলে প্রকাশ্যে এমন নারীর প্রতি বর্বরতা দেশবাসী খুব কম দেখেছে।জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছেই এই কারণে যাতে যখন যা ইচ্ছা তাই করা যায়। সরকার তো নেই। যা আছে সব তাবেদারি করে।

জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারের ঘটনা সারা দেশে হাড়া ফেলেছে ।

আসলে এটা তো শুধু একটা বারের ঘটনা না, গোটা দেশটাকেই এরা বার বানিয়ে রেখেছে।

গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বারে ভাঙচুর চালানো হয়।

বারের কর্মচারীদেরও মারধর করা হয় এবং নগদ অর্থ ও মদের বোতল লুট করার ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মনির হোসেন নিজেকে যুবদল নেতা দাবি করেছেন।

মামলার বাদী রেস্টুরেন্টের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘ঘটনার আগের দিন অভিযুক্ত মনির হোসেন রেস্টুরেন্টে এসে নিজেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে ভিআইপি রুম দাবি করেন। সে সময় কোনো রুম খালি না থাকায়, তাকে সাধারণ টেবিলে বসানো হয়।’

‘খাবার শেষে ছাড় দিয়ে বিল নেওয়া হলেও, তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং হুমকি দিয়ে রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করেন,’ এজাহারে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, পরদিন মঙ্গলবার রাতে মনির হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

তারা টিভি, চেয়ার, টেবিল, সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটর, ল্যাপটপ, গ্লাস ও অন্যান্য সামগ্রী ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।

এছাড়া কাউন্টার থেকে তারা নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং স্টোর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার বিদেশি মদ লুট করে নিয়ে যায়।

রেস্টুরেন্টের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *